আরও কড়া হতে পারে লকডাউন, ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর
সংক্রমণের বিচারে ফের রেকর্ড। এ বার মাত্র ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের সংখ্যাটা টপকে গেল ১১ হাজারের গণ্ডি! শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক দিনে ১১,৪৫৮ জন নতুন করে সংক্রামিত হওয়ায় ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,০৮,৯৯৩। আর একদিনে ৩৮৬ জনের মৃত্যুতে করোনা মোট শিকার ৮,৮৮৪।
এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে আবার ফিরতে পারে কঠোরতর লকডাউন। তবে তা একসঙ্গে গোটা দেশে নয়, করোনা প্রভাবিত রাজ্যভিত্তিক ভাবে। শনিবার জরুরি বৈঠকে গোটা দেশের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারি সূত্রের খবর, উদ্বেগজনকভাব বেড়ে চলা দেশের করোনা সংক্রমণ যাতে হাতের বাইরে না বেরিয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন মোদী৷ এই লক্ষ্যেই ফেরানো হতে পারে লকডাউন, সব থেকে বেশি করোনা প্রভাবিত রাজ্যগুলির বিশেষ বিশেষ অংশে৷
বর্তমানে কন্টেনমেন্ট জ়োনেই কেবলমাত্র লকডাউন বলবৎ রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ছাড়ের সুযোগ নিচ্ছেন কন্টেনমেন্ট জ়োনের বাসিন্দারাও। সে অঞ্চলে ঢোকা-বেরোনোও বন্ধ করা যাচ্ছে না। অর্থাৎ লকডাউন ৫.০ তে ‘লকডাউন’ আর কাযর্করীই হচ্ছে না। বরং আনকল-১ এর সুযোগ নিয়ে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এ দিকে ‘জান’ ও ‘জাহান’ বাঁচানোর জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন করা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এমতাবস্থায় চলছে মধ্যমপন্থার সন্ধান। সরকারি সূত্রে খবর, এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে যে রাজ্যগুলি সবচেয়ে বেশি করোনাপ্রবণ, সে সব রাজ্যের বেশ বড় অঞ্চল জুড়ে বলবৎ করা হবে। সেটা একটা জেলা বা একটা গোটা শহরও হতে পারে। অর্থাৎ তা শুধু কন্টেনমেন্ট জ়োনে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তবে পুরোটাই নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সম্মতির উপর। সে ক্ষেত্রে প্রত্যাহার করা হতে পারে যাবতীয় ছাড়ের অনুমতি, শনিবার সতীর্থ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন মোদী৷
এই মর্মে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত বৈঠকের পরে৷