রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

উচ্চমাধ্যমিকের মধ্যেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ শিক্ষকমহল

March 4, 2022 | 2 min read

হঠাৎ করে উচ্চ মাধ্যমিকের মধ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজাম (জেইই) মেইনের দিন ঘোষণা হয়েছে। আর এর জেরে উচ্চ মাধ্যমিকের সূচি বদল নিয়ে ভাবতে হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকেই দোষারোপ করছেন রাজ্যের শিক্ষকরা। তাঁদের মতে, নভেম্বরে ঘোষিত একটি সূচি কেন্দ্রীয় সংস্থার গোচরে না থাকাটা অস্বাভাবিক ব্যাপার। আর যদি জেনেবুঝেই এই পদক্ষেপ তারা করে থাকে, তা সরাসরি ছাত্রবিরোধী।


পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, এটা একটা দারুণ সমস্যা তৈরি হল। সংসদকে অনেক দিক মাথায় রেখে, পারমুটেশন-কম্বিনেশন করে সূচি তৈরি করতে হয়। একদিনে একাধিক বিষয়ের পরীক্ষা থাকে। তাই হঠাৎ করে একটা পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার মতো সহজ ব্যাপার নয়। আর উচ্চ মাধ্যমিকে গোটা সিস্টেম একসঙ্গে কাজ করে। জয়েন্টের মতো ছোট পরীক্ষাও নয় এটি। সাত সাড়ে-সাত লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ এখানে জড়িয়ে। এনটিএ ভুলই করেছে বলতে হবে। আরও একটি দিক তুলে ধরতে চাইছেন তিনি। তাঁর মতে, উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি এবং জয়েন্টের প্রস্তুতির ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। তাই দু’টি পরীক্ষার মধ্যে অন্তত সাতদিনের ব্যবধান থাকা বাঞ্ছনীয়। না-হলে পরীক্ষার্থীদের উপর মানসিক চাপ পড়তে বাধ্য।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, এটা একটা দারুণ সমস্যা তৈরি হল। সংসদকে অনেক দিক মাথায় রেখে, পারমুটেশন-কম্বিনেশন করে সূচি তৈরি করতে হয়। একদিনে একাধিক বিষয়ের পরীক্ষা থাকে। তাই হঠাৎ করে একটা পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার মতো সহজ ব্যাপার নয়। আর উচ্চ মাধ্যমিকে গোটা সিস্টেম একসঙ্গে কাজ করে। জয়েন্টের মতো ছোট পরীক্ষাও নয় এটি। সাত সাড়ে-সাত লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ এখানে জড়িয়ে। এনটিএ ভুলই করেছে বলতে হবে। আরও একটি দিক তুলে ধরতে চাইছেন তিনি। তাঁর মতে, উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি এবং জয়েন্টের প্রস্তুতির ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। তাই দু’টি পরীক্ষার মধ্যে অন্তত সাতদিনের ব্যবধান থাকা বাঞ্ছনীয়। না-হলে পরীক্ষার্থীদের উপর মানসিক চাপ পড়তে বাধ্য।

সহকারী প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন সিএএইচএমের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, সাম্প্রতিককালে এমন কোনও নজির নেই। উচ্চ মাধ্যমিকের সূচি নভেম্বর থেকে ঘোষিত ছিল। তবে, এটা দোষারোপ বা দু’টি সংস্থার ক্ষমতা জাহিরের মতো ব্যাপার নয়। আলোচনার মাধ্যমেই এর সমাধান করতে হবে। না-হলে এই সমস্যা ভবিষ্যতেও ঘটতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থাটির আগে থেকে সংসদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া উচিত ছিল। তাহলেই এই সমস্যা এড়ানো যেত। আমার মতে, এখনও আলোচনা চলতে পারে। না-হলে সূচিতে ভালোরকম রদবদল করতে হবে সংসদকে। সেটা সংসদের পক্ষে মোটেই সহজ নয়। পরীক্ষার্থীদেরও একটা অনাবশ্যক চাপের মধ্যে ফেলা হল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#joint entrance

আরো দেখুন