সিপিএমের শ্রমজীবী ক্যান্টিনের সমালোচনা দলের অন্দরেই

মূলত ক্রাউড ফান্ডিংয়েই চলে যাদবপুর শ্রমজীবী ক্যান্টিন

March 5, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

কোভিডকালে গরিব মানুষকে সামান্য মূল্যে ভাত-ডাল-তরকারির বন্দোবস্ত করার কর্মসূচি নিয়ে জেলায় জেলায় শ্রমজীবী ক্যান্টিন গড়ে তুলে সারা ফেলেছিল সিপিএম (Kolkata CPM)। শুরুটা হয়েছিল যাদবপুর থেকে। মডেল হয়ে ওঠা যাদবপুরের সেই জ্যোতিদেবী (Jyoti Devi) শ্রমজীবী ক্যান্টিনের বৃহস্পতিবার ৭০০ দিন (700 Days) হয়েছে। শুক্রবার ৭০১ তম দিনেও যখন সেখান থেকে ২০ টাকায় ভাত-ডাল তরকারি নিচ্ছেন গরিব মানুষ তখন সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্মেলনে (Kolkata CPM) সেই কর্মসূচিকেই কার্যত শূলে চড়ানো হল।

সিপিএম সূত্রে খবর, যুব ফ্রন্টের এক নেতা সম্মেলনে আলোচনা করতে উঠে ক্যান্টিন মডেলের তীব্র সমালোচনা করেন। জানা গিয়েছে, তিনি বলেছেন, এই ধরনের কাজ কমিউনিস্ট পার্টির হতে পারে না। এটা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার (NGO) কাজ।

কীভাবে চলে এই ক্যান্টিন

মূলত ক্রাউড ফান্ডিংয়েই চলে যাদবপুর শ্রমজীবী ক্যান্টিন। দেখা যায় বিশিষ্ট জন সহ বহু মানুষ তাঁদের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী উদযাপন না করে ক্যান্টিনে অর্থ দান করেছেন। জানা গিয়েছে, এক অভিনেত্রীর থেকে অর্থ গ্রহণ করা নিয়েও সমালোচনা হয়েছে সম্মেলনে। প্রশ্ন উঠেছে, সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম পর্বে তৃণমূলের পাশে থাকা সেই অভিনেত্রীর থেকে কেন অর্থগ্রহণ করা হল? সম্মেলনে আলোচনা করতে গিয়ে সেই প্রতিনিধি বলেছেন, ‘আমাদের লোকের শহিদবেদীতে লাথি মারা সেই অভিনেত্রীর কেন টাকা নেওয়া হল?’ যিনি এই কথা বলেছেন, জানা গিয়েছে তিনি আবার বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে সওয়াল করেছেন সম্মেলনে।

সিপিএমের অনেকের বক্তব্য, নির্দিষ্ট একজন নেতাকে টার্গেট করতেই টালিগঞ্জ সহ দুএকটি এরিয়া কমিটি এই সমালোচনা করেছে। সিপিএমের এক নেতার কথায়, “নির্দিষ্ট একজনের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণে আপত্তি থাকতে পারে, কিন্তু ক্রাউড ফান্ডিংয়ে অনলাইনে কেউ টাকা পাঠালে তার বাছবিচার করা যায়? তা ছাড়া যিনি সমালোচনা করছেন তিনি আবার এও বলছেন কংগ্রেসের হাত ধরে চলতে। সে ক্ষেত্রে শহিদের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা ভ্যানিশ?”

পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, ক্ষমতায় থাকার সময়ে সিপিএমের ভিতরে যে ধরনের গোষ্ঠী রাজনীতি চলত তার কোনও বদল হয়নি। সিপিএম আছে সিপিএমেই। একটা সময়ে ক্লাব, পুজো কমিটিতে দলীয় সদস্যদের যুক্ত থাকা নিয়েও পার্টিতে কম তোলপাড় হয়নি। জনসংযোগে ক্লাবের মঞ্চকে ব্যবহার করার ব্যাপারে সেই সময়ে বুক চিতিয়ে লড়েছিলেন প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তী। পরে অবশ্য সিপিএম নরম হয়। অবস্থান বদল করে। এক নেতা পার্টি সম্পর্কেই বিদ্রুপ করে বলেন, ‘আমরা সব বুঝি, কিন্তু দেরিতে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen