সিট তদন্তে আর সহযোগিতা নয়, বললেন ক্ষুব্ধ আনিসের বাবা

শনিবার বিকেলে সিটের ছয় সদস্য হাওড়ার আমতার সারদা গ্রামে আনিসের বাড়িতে যান। সালেম কথা না বলে তাঁদের ফিরিয়ে দেন। সিটের সদস্যেরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে সে দিনের ঘটনা (১৮ ফেব্রুয়ারি) সম্পর্কে খোঁজখবর করেন। আনিসের সম্পর্কে জানতে চান। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করে ফিরে যান।

March 6, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ছাত্রনেতা আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে দু’সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। আমতা থানার এক হোমগার্ড এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া আর কাউকে ধরতে পারেনি সিট। রাজ্য সরকার গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ বার তাদের সঙ্গে আর সহযোগিতা করবেন না বলে শনিবার জানিয়ে দিলেন আনিসের বাবা সালেম খান। তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এ দিন জানিয়েছেন, আদালতের পর্যবেক্ষণে সিবিআই তদন্তের দাবি তাঁরা দিল্লিতে তুলবেন।

শনিবার বিকেলে সিটের ছয় সদস্য হাওড়ার আমতার সারদা গ্রামে আনিসের বাড়িতে যান। সালেম কথা না বলে তাঁদের ফিরিয়ে দেন। সিটের সদস্যেরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে সে দিনের ঘটনা (১৮ ফেব্রুয়ারি) সম্পর্কে খোঁজখবর করেন। আনিসের সম্পর্কে জানতে চান। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করে ফিরে যান।

সালেম বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনে আমি সিটকে সব ধরনের সহায়তা করেছি। কিন্তু সিট আমাকে কোনও তথ্য দিচ্ছে না। এখনও দোষীদের ধরতে পারল না। বার বার চাওয়া সত্ত্বেও দু’টি ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলাম না। থানায় জানানো সত্ত্বেও হুমকি-ফোনের কোনও সুরাহা হল না। উল্টে, আমার বাড়িতে যাঁরা আসছেন, তাঁদের মধ্যে অনেককে পুলিশ ফোন করে ভয় দেখাচ্ছে। আমি আর সিটের সঙ্গে বসবই না। কোনও সহযোগিতা করব না।’’

জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক কর্তা ভয় দেখানোর অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর দাবি, ‘‘ওই বাড়িতে প্রতিদিন বহু মানুষই আসছেন। পুলিশ কেন তাঁদের ফোন করে ভয় দেখাবে?’’ আনিসের অপমৃত্যুর পরে সিবিআই তদন্ত চাওয়ায় তাঁর দাদাকে যে হুমকি-ফোন করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলেও দাবি করেছেন ওই পুলিশকর্তা

এ দিন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ ওই সংগঠনের ধৃত নেতাদের মুক্তি এবং আনিস ‘খুনের’ ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবিতে পানিয়াড়ায় হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ দেখায় ফরওয়ার্ড ব্লকের পাঁচলা লোকাল কমিটি। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পুলিশ সুপারের অফিসে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen