মেট্রোয় রংবাজি! এবার কলকাতা মেট্রোতে চালু হচ্ছে কালার কোড
রঙ দিয়ে যায় চেনা। দিল্লির ধাঁচে এবার কলকাতা মেট্রোও (Kolkata Metro) হচ্ছে আলাদা রঙের। তবে সবকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই তবে কালার কোড নির্ধারিত হবে কলকাতায় মেট্রো রেলে। আপাতত রেলওয়ে বোর্ড বলছে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পরিচিত হবে নীল রঙে। কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর হবে কমলা রঙের। হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ হবে সবুজ রঙের। জোকা থেকে এসপ্ল্যানেড হবে বেগুনি রঙের। নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর-বারাসত হবে হলুদ রঙের। আর বরানগর থেকে ব্যারাকপুর যদি কখনও হয় তাহলে তা হবে গোলাপি রঙের।
বর্তমানে কলকাতা মেট্রোয় ব্লু করিডর বা দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পুরোপুরি অপারেশনাল। অন্যদিকে সেক্টর ফাইভ থেকে ফুলবাগান অবধি মেট্রো অপারেশনাল। বাকি গুলির ক্ষেত্রে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে পুরোপুরি পরিষেবা চালু হলে তবেই কালার কোড চালু করে দেওয়া হবে। কেন এই কালার কোড? দিল্লি মেট্রোয় মাকড়সার মতো লাইন ছড়ানো আছে। কালার কোড দেওয়ার সবার সুবিধে হয় কে কোন গন্তব্যে যাতায়াত করছেন বা করতে চান তা বুঝতে।
কলকাতাতেও আগামী দুই বছরের মধ্যে একাধিক জায়গায় মেট্রো লাইন সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই অবস্থায় কালার কোড থাকলে যাত্রীদের সুবিধা হবে। সূত্রের খবর, বিভিন্ন জংশন স্টেশন যেমন দমদম, কবি সুভাষ, বিমানবন্দর, এসপ্ল্যানেড, সেক্টর ফাইভ এই সব স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে কালার কোড পায়ের ছাপ দিয়ে চিহ্নিত করা হতে পারে৷ এছাড়া হাওড়া, শিয়ালদহ মত মেট্রো স্টেশনেও বিভিন্ন কালার কোডের বিভিন্ন রুট বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
প্রত্যেকদিন যাতায়াত করা যাত্রীদের পাশাপাশি, যারা একেবারেই নতুন যাত্রী তাদের জন্যে এই কালার কোড সুবিধা দেবে বলে মনে করছে মেট্রো রেলের আধিকারিকরা। এছাড়া যদি রেকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তাহলে বেশ কিছু রুটে কালার কোড দিয়ে রেকও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই রেলওয়ে বোর্ডের তরফে কালার কোডের বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে প্রকল্প রূপায়ণকারী সংস্থা RVNLকে।