মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটের রিপোর্ট চেয়ে এয়ারপোর্ট অথিরিটি অফ ইন্ডিয়াকে চিঠি রাজ্যের মুখ্যসচিবের
মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটের প্রকৃত তদন্ত চায় নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জেড প্লাস নিরাপত্তা পাওয়া ভিভিআইপি’র বিমানে কেন এরকম অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটল তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে এয়ারপোর্ট অথিরিটি অফ ইন্ডিয়াকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। অসামরিক বিমান চলাচলের নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ-র সঙ্গে কথা বলে নবান্নকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে এয়ারপোর্টস অথিরিটি অফ ইন্ডিয়াকে। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরও আলাদা করে খোঁজখবর নিচ্ছে।
শুক্রবার উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে চাটার্ড ফ্লাইটে কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে এয়ার টার্বুল্যান্সের জেরে হঠাৎ করে বিমানটি নীচে নেমে আসায় তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিমানের বাকি যাত্রীরা। তাতে কোমরে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। এয়ারপোর্ট অথিরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে, আবহাওয়া খারাপ থাকায় এয়ার পকেটে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে এবং এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিতে নারাজ নবান্ন। কারণ, মাঝআকাশে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে সেটা যাত্রীদের আগাম জানানোর কথা। নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব চিঠিতে জানতে চেয়েছেন বিমানটির রুট ক্লিয়ারেন্স ছিল কিনা। কারণ, যে কোনও বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে রুট ক্লিয়ারেন্স থাকতে হয়। যদিও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ মৌখিক ভাবে জানিয়েছে, বিমানের রুট ক্লিয়ারেন্স ছিল।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটের বিষয়টি প্রশাসন যেমন খতিয়ে দেখছে, তেমনই দলের দিক থেকেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বিমানে এমনটা হলো, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।