প্রথমে সতর্ক, তারপর শোকজ, না শুনলে… বিক্ষুব্ধদের কড়া বার্তা মমতার
রাম-বাম-শ্যাম তিনজনে মিলে বৈঠক করেছে। যাতে দাঙ্গা পাকানো যায়, দেউচা-পাঁচামি না করা যায়, যাতে তাজপুর না করা যায়।মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)।
তিনি বলেন, “নারী দিবসে সারা পৃথিবীর সকল ভাইবোনের শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানাচ্ছি। মা-বোনেরা শান্তির প্রতীক। তাই যুদ্ধে থেমে যাক। শান্তি হোক। অনেক মানুষের প্রাণ গিয়েছে। কে দোষী, কো দোষী নয়, তা নিয়ে তর্ক করতে পারি। তবে এখন নয়। জীবন হতে করে ছাত্রছাত্রীদের ফিরে আসতে হচ্ছে। নাটক করে দেখানো হচ্ছে, যেন বড় কাজ করা হচ্ছে।”
বিজেপির প্রবল সমালোচনা
তিনি (WB CM Mamata Banerjee) বলেন, “বিধানসভা শুরু হয়েছে। বিজেপির নির্লজ্জ ভূমিকা দেখেছি। প্ল্য়ান ছিল গণতন্ত্রের হত্যা হোক। হেরে গিয়েও লজ্জা নেই। হেরে গেলে বলে ঝামেলা হয়েছে। কেউ ইচ্ছা করলে ঝামেলা করলে। পার্টি কেন দায়িত্ব নেবে ঝামেলার?”
মমতা (WB CM Mamata Banerjee) বলেন, “জায়গাগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন, কন্টাই, ব্য়ারাকপুর, ভাটপাড়া, বহরমপুর। নিজেদের লড়ার ক্ষমতা নেই। কাউকে তো বাধা দেওয়া হয়নি। আগামী দিন পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। যেভাবে ৭-৮টা জায়গা ছাড়া যেভাবে শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে, চাই তা শান্তিপূর্ণ ভাবে হোক। কুৎসা, অপপ্রচারকারী, ষড়যন্ত্র, দাঙ্গাকারীর দল বিজেপি। বিজেপির বাহিনী গণতন্ত্র লুঠ করতে এসেছিল। ভাল করে রিপ্লাই দিতে হবে মাথা ঠান্ডা করে।”
দলের বিদ্রোহী নেতাদের কড়া হুঁশিয়ারি
তিনি (WB CM Mamata Banerjee) বলেন, “দলের নির্দেশ যাঁরা মানছেন না, গাড়ি করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ভাবছেন এটা আপনার সুযোগ এসেছে, দলের সুযোগ এলে ক্যাঁচ করে নাম কেটে দেবে। এই দলটা মানুষের দল। কিসের জন্য নির্দলকে সাপোর্ট দেওয়া?”
তিনি বলেন, “দলের প্রার্থী থাকা সত্বেও জিতে আপনি নেতা হবেন। আমি ৭-৮ জনের নাম দেখেছি। আমি সবার সঙ্গে কাজ করতে চাই। দার্জিলিঙে ভোট হয়েছে। আমি খুশি। এবার জিটিএ ভোট হোক। দলের কেউ আলাদা করে বলবে তা হবে না।”
দলের ডিসিপ্লিনারি কমিটি
ডিসিপ্লিনারি কমিটি গড়ে দেন তিনি (WB CM Mamata Banerjee)। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন মমতা (WB CM Mamata Banerjee) বলেন, “প্রথমে অ্যালার্ট, তারপর শো-কজ। দুবার শোকজ করব। তারপর সাসপেন্ড, যে বড় নেতাই হোক। দু-তিনজনকে ইতিমধ্য়ে অ্যালার্ট করা হয়েছে। তাদের লাস্ট চান্স দেওয়া হল। তৃণমূল দুর্বল নয়। জয়ী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের চেয়ারপার্সন, তৃণাঙ্ুর ভট্টাচার্য সভাপতি। রাজনীতি করে খাওয়ার জায়গা নয়, সেবা করার জায়গা।”