রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

উলুবেড়িয়ায় বাম কার্যালয়ে জমা অবন্টিত দেড় হাজার সরকারি বালতি! ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা

March 8, 2022 | 2 min read

সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের জন্য দেওয়া হয়েছিল বালতি। কিন্তু অভিযোগ, উলুবেড়িয়া পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার সুষমা মণ্ডল সেগুলি সাধারণ মানুষকে না দিয়ে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের কার্যালয়ে রেখে দিয়েছিলেন। সোমবার সকালে কার্যালয় থেকে বালতিগুলি সরানোর অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। একে কেন্দ্র করে এদিন সকালে চেঙ্গাইলের নারকেলতলায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বালতি সরানোর খবর পেয়ে এলাকার ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ওই কার্যালয়ের সামনে এসে বিদায়ী কাউন্সিলারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। এমনকী সেখানে থাকা প্রায় দেড় হাজার বালতি তাঁরা বেরও করে নিয়ে যান। যদিও বিকেলে উলুবেড়িয়া থানার পুলিস ও পুরসভার কর্মীরা এলাকায় গিয়ে বালতিগুলি উদ্ধার করে পুরসভায় নিয়ে আসেন।

জানা গিয়েছে, পুরসভার পক্ষ থেকে ৩২টি ওয়ার্ডে পৃথক করা বর্জ্য সংগ্রহের জন্য দু’টি ভিন্ন রঙের বালতি প্রতিটি বাড়িতে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য বেশ কয়েক হাজার বালতি প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলারদের হাতে দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, ১৩ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী বাম কাউন্সিলার সুষমা মণ্ডল কয়েকটি বাড়িতে সেইসব বালতি দিলেও প্রায় দেড় হাজার বালতি বিতরণ না করে স্থানীয় বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের কার্যালয়ে রেখে দেন। সোমবার সকালে তিনি ওই কার্যালয় থেকে বালতি বের করছেন, এই খবর পাওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে গিয়ে তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁরা বালতি বের করতে বাধা দেন। এক সময়ে তাঁরা বালতি বের করে নিজেরা নিয়ে চলেও যান। তাঁদের অভিযোগ, বিদায়ী সিপিএম কাউন্সিলার সুষমা মণ্ডল সব বালতি পার্টি অফিসে রেখে দিয়েছিলেন। এদিন সেইসব বালতি পাচার করার সময় আমরা তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেছি। তাঁরা বিদায়ী কাউন্সিলারের শাস্তির দাবিও করেন।

অন্যদিকে দলীয় কার্যালয়ে বালতি রাখার কথা স্বীকার করলেও সুষমা মণ্ডলের দাবি, বালতিগুলি এদিন সাধারণ মানুষকেই দিচ্ছিলাম। যদিও তৃণমূলের লোকেরা বালতি দিতে বাধা দিয়েছে। এমনকী নিজেরাই সব বালতি বের করে নিয়ে গিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এখনও যেহেতু নতুন বোর্ড গঠন করা হয়নি, সেই কারণে আমি একজন ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর হিসেবে বালতি দিচ্ছিলাম। তৃণমূল দিতে দিল না।

এই প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়া পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান অভয় দাস জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডের মতো ১৩ নং ওয়ার্ডেও বালতি দেওয়া হয়েছিল। ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার বালতি না দিয়ে রেখে দিয়েছিলেন। এঁরা উন্নয়নের পক্ষে নেই। সেই কারণে আজ মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এটা বিদায়ী কাউন্সিলারের অপদার্থতার পরিচয়। শুধু ১৩ নয়, ২৩ নং ওয়ার্ডেও এমন বিক্ষোভ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#buckets, #West Bengal, #Cpim

আরো দেখুন