গত ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে করোনা আক্রান্ত ৫ হাজারের কম
কড়া বিধিনিষেধ জারি করে এবং টিকাকরণে জোর দিয়েই ধীরে ধীরে লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে দেশের করোনা সংক্রমণে। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে জয়ের পথে এগিয়ে চলেছে ভারত, তা গত কয়েকদিনের পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। পাঁচ হাজারের নিচে নেমে গিয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। কমেছে অ্যাকটিভ কেসও। আর তারই মধ্যে স্বস্তি দিয়ে গবেষকরা জানালেন, দেশে চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৫ জন। গতকাল অবশ্য চার হাজারের নিচে নেমেছিল সংখ্যাটা। তবে ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৯৬২। অ্য়াকটিভ কেসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ০.১১ শতাংশে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় প্রায় সব রাজ্যেই শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ। এরই মধ্যে ভাইরোলজস্টি ডা. জেকব জনস জানাচ্ছেন, ভারতে তৃতীয় ঢেউয়ের ইতি ঘটেছে। সেই সঙ্গে আশ্বস্ত করেন, যদি কোভিডের নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাব না ঘটে, তাহলে চতুর্থ ঢেউ আসার সম্ভাবনা নেই। স্বাভাবিকভাবেই এমন খবর স্বস্তি দেবে দেশবাসীকে।
সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমলেও এখনও খানিকটা চিন্তায় রাখছে দেশের মৃত্যুহার। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন ভারতে ফের ঊর্ধ্বমুখী মৃতের সংখ্যা। একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৫ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৫৫ জন।
তবে এসবের মধ্যেই স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৮৩ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৭ হাজার ৪১৬ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৬৯ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৭৯ কোটি ৩৩ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১৮ লক্ষের বেশি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ফের জানাল, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বুস্টার ডোজ প্রয়োজন। টিকাকরণের পাশাপাশি চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ৮ লক্ষের ৯৭ হাজার ৯০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।