মোদী সরকারের অস্বস্তি এড়াতে EVM অপব্যবহার সংক্রান্ত RTI এর জবাব দিচ্ছে না কমিশন?
ইভিএম নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই! কিন্তু ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের কোন অভিযোগকেই আমল দিচ্ছে না জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইভিএম অপব্যবহার সংক্রান্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে দর্শকের ভূমিকায় তাঁরা! নির্বাচন কমিশনের এহেন অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। নির্বাচন কমিশনের রহস্যজনক আচরণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা আরটিআই কর্মী সাকেত গোখলে। তিনি গত বছর ডিসেম্বর মাসে ইভিএম নিয়ে অভিযোগের সংখ্যা জানতে তথ্যের অধিকার আইনের সাহায্য নেন। তাঁর আরটিআই-এর আবেদনে এখনও মেলেনি কোন উত্তর!
প্রসঙ্গত, ১৭/১২/২০২১ তারিখে মোদী সরকার তরফে লোকসভায় দাবি করা হয়েছিল বিগত পাঁচ বছরে ইভিএম-এর অপব্যবহার সংক্রান্ত কোন অভিযোগ জমা পড়েনি। এর সত্যতা যাচাই করতেই, আরটিআই-এর মাধ্যমে সাকেত নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছিলেন। ১/০১/২০১৭ থেকে ১/১২/২০২১ পর্যন্ত, দীর্ঘ পাঁচ বছরের মধ্যে হওয়া নির্বাচনে EVM অপব্যবহার নিয়ে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে মোট কতগুলি অভিযোগ জমা পড়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন সাকেত। সেই সঙ্গেই ওই নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের তরফে ইভিএম সংক্রান্ত কতগুলো অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে, সে সংখ্যাও জানতে চাওয়া হয়েছিল।
কিন্তু তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও মেলেনি উত্তর। RTI ওয়েবসাইটে ফাইল ফার্স্ট অ্যাপিল বলে একটি বোতাম রাখা হয়। ৩১ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও যদি কোন আরটিআইয়ের আবেদন গৃহীত না হয়, সেক্ষেত্রে ফাইল ফার্স্ট অ্যাপিল অপশন দেওয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনকভাবে সাকেতের এই আবেদনটির ক্ষেত্রেই কেবলমাত্র ওই অপশন দেওয়া হয়নি! এতেই উঠছে প্রশ্ন।
সাকেত জানিয়েছেন, বিগত সপ্তাহে ডাকবিভাগের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েও তিনি আরটিআইয়ের আবেদন করেছেন, কিন্তু তারও কোন উত্তর মেলেনি।