‘রেফার’ এর গেরোয় রোগীমৃত্যু আটকাতে নতুন নিয়ম আনল রাজ্য
রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে রেফার নীতিতে বড়সড় রদবদল। যে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে সেখানে বেড খালি রয়েছে কি না জেনে এবার থেকে রেফার করতে হবে চিকিৎসকদের। নিউটাউনের ৮ মাসের শিশুর মৃত্যুর পর NRS হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রেফার নীতিতে এছাড়াও আরও একগুচ্ছ রদবদল করেছে স্বাস্থ্য ভবন।
গত শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ বাড়িতে কাজলের কৌটো গিলে ফেলে নিউ টাউনের বাসিন্দা ৮ মাস বয়সী একটি শিশুর। তাঁকে নিয়ে একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে বেলা ১০টা নাগাদ SSKM হাসপাতালে পৌঁছন বাবা – মা। সেখানে সঙ্গে সঙ্গে ল্যারিঙ্গোস্কোপি করে কাজলের কৌটোটি বার করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ততক্ষণে শিশুটির শরীরে অক্সিজেন সম্পৃক্ততার মাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে। শিশুটিকে PICU-তে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। শনিবার সকালে মৃত্যু হয় তার।
পরিবারের অভিযোগ, সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত একের পর এক সরকারি হাসপাতালে ঘুরে বেড়িয়েছেন তাঁরা। গিয়েছিলেন NRS হাসপাতালেও। সেখানে একের পর এক বিভাগে ঘুরে দীর্ঘ সময় নষ্ট হয়ে যায়। তার পর শিশুটিকে রেফার করা হয় SSKM-এ। কিন্তু কেন NRS-এ পরিকাঠামো থাকা সত্বেও শিশুর গলা থেকে কাজলের কৌটো বার করা গেল না? জানতে ৩ সদস্যের কমিটি গড়েছিল রাজ্য সরকার। সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রেফারের নতুন নীতিমালা তৈরি করেছে স্বাস্থ্য ভবন।
সংশোধিত নীতিমালা অনুসারে এবার থেকে কোনও রোগীকে রেফার করতে গেলে ২ চিকিৎসকের বোর্ড গঠন করে সিদ্ধান্ত তিতে হবে। রোগীকে রেফার করার আগে জানতে হবে যে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে সেখানে বেড খালি রয়েছে কি না। রোগীকে পাঠানোর আগে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করতে হবে। অনলাইনে চিকিৎসকদের দায়িত্ব ভাগ করে দিতে হবে। কোন চিকিৎসক কখন দায়িত্বে রয়েছেন তা আউটডোর, এমারজেন্সি ও হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে টাঙাতে হবে। হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোয় কোথায় ঘাটতি রয়েছে তা জানতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে।