বিরাট বদল ফেসবুকের নীতিতে, উস্কানিমূলক পোস্টে উঠল নিষেধাজ্ঞা! তবে…
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ শিথিল করল ফেসবুক (Facebook)। রাশিয়ার বিরুদ্ধে হিংসাত্মক এবং উস্কানিমূলক বক্তৃতা বা ভাষণের উপর থেকে সাময়িক ভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল তারা। তাই ‘রাশিয়া নিপাত যাও’, বা ‘রুশ আক্রমণকারীদের মৃত্যু হোক’—এমন উক্তি করা যাবে নেটমাধ্যমে। তবে রাশিয়ার সাধারণ নাগরিক নয়, যাঁদের হাত ধরে ইউক্রেনের বুকে যুদ্ধ নেমে এসেছে, সেই রুশ সেনা এবং নেতাদের উদ্দেশেই শুধু এই ধরনের মন্তব্য করা যাবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুক্রবার ১৬তম দিনে পা রেখেছে। তা নিয়ে মস্কোর নিন্দায় সরব গোটা দুনিয়া। নেটমাধ্যমেও লাগাতার ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। য়ুদ্ধবিরোধী সাধারণ মানুষের ভাবাবেগকে মাথায় রেখেই বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা মেটার।
সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘ইউক্রেনের উপর রুশ হামলার জেরে সাময়িক ভাবে মানুষের রাজনৈতিক অভিব্যক্তিতে কিছু ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। যেমন ধরুন ‘রুশ আক্রমণকারীদের মৃত্যু হোক’। সাধারণত এই ধরনের মন্তব্য আমাদের নিয়ম-নীতির পরিপন্থী। তবে রাশিয়ার সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে হিংসার প্ররোচনা বরদাস্ত করব না আমরা।’
রাশিয়ার সহযোগী দেশ বেলারুশের উপরও এই নিয়ম প্রযোজ্য। আর্মেনিয়া, আজেরবাইজান, এস্টোনিয়া, জর্জিয়া, হাঙ্গেরি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, ইউক্রেনের মতো দেশকে এই বিশেষ ছাড় দওয়া হয়েছে। সেখান থেকে রাশিয়ার উদ্দেশে যা লেখার,লেখা যাবে এবং যা বলার, বলা যাবে।
ফেসবুকের এই পদক্ষেপ নজিরবিহীন হলেও, বিগত কয়েক দিনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কডা় পদক্ষেপ করেছে অন্য মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাও। রাশিয়ায় পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে এনেকে। আবার মস্কোর তরফেও টুইটার-সহ একাধিক নেটমাধ্যম নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশে। এর আগে, ফেসবুকের তরফে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি কাটছাঁট করা হয়।
এর আগে, অ্যাপল, মাইক্রোসফ্ট রাশিয়া ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। যুদ্ধ না মেটা পর্যন্ত রাশিয়ায় পরিষ্কা দেওয়া থেকেও বিরত রয়েছ একাধিক সংস্থা।গত সপ্তাহে ইন্টারনেট পরিষেবা সংস্থা কগজেন্ট কমিউনিকেশ রুশ গ্রাহকদের সঙ্গে চুক্তি ভেঙে দেয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও তারা সম্পর্ক ছিন্ন করে বলে জানা যায়।