দার্জিলিং, ডুয়ার্স ছাড়াও উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জায়গাগুলিতে পর্যটকদের নজর টানতে নতুন উদ্যোগ ‘বৈকুন্ঠপুর প্যাকেজ’
ডুয়ার্সের জঙ্গল আর পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে পর্যটকরা দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে আসেন। এবার এখানকার হেরিটেজগুলিকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার জন্য বিশেষ প্যাকেজ চালু করতে উদ্যোগী হয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। মোট পাঁচদিনের এই প্যাকেজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বৈকুন্ঠপুর প্যাকেজ’। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার হয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থান দেখানো. হবে, পর্যটকদের। গরুমারা, জলদাপাড়া, গজলডোবা নিয়ে তো আগে থেকেই যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে। এবার পর্যটন ব্যবসায়ীদের আশা এই বৈকুন্ঠপুর প্যাকেজ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দর্শণীয় স্থান পর্যটকদের কাছে তুলে ধরবে।
মোট পাঁচদিনের এই প্যাকেজে থাকবে জলপাইগুড়ি শহরের হেরিটেজ ওয়াক। থাকবে বাণেশ্বর মন্দির, জল্পেশ্বর মন্দির, ভ্রামরীদেবীর মন্দির, ভবানী পাঠকের মন্দিরের মতো ঐতিহ্যবাহী স্থান দর্শন। বৈকুন্ঠপুর প্যাকেজ অবশ্য কয়েকবছর আগেও একবার শুরু করা হয়েছিল। তবে সেবার তা খুব একটা সাফল্যের মুখ দেখেনি। তাই এবার জলপাইগুড়ি ট্যুর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা়য় আগের প্যাকেজে কিছু বদল করে শুরু করা হচ্ছে পর্যটকদের জন্য। ট্যুর অপারেটররা বলছেন, বর্ষার সময় জঙ্গল বন্ধ থাকে। কিন্ত এই প্যাকেজে উত্তরবঙ্গ ঘুরে দেখার সুযোগ কিন্তু সারা বছরই পাবেন পর্যটকরা।
বৈকুন্ঠপুর প্যাকেজের প্রথম দিনে জলপাইগুড়ি শহরে হবে হেরিটেজ ওয়াক। রাত জলপাইগুড়িতে কাটিয়ে দ্বিতীয় দিন বাণেশ্বর মন্দির দেখানো হবে পর্যটকদের সেইসঙ্গে দেখানো হবে ত্রিশ্রোতা মহাপীঠ। তৃতীয় দিন সকালে প্রাতরাশের পর গজলডোবায় নিয়ে যাওয়া হবে পর্যটকদের। সেখানে মধ্যাহ্নভোজনের পর পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে পাখিবিতানে। সেদিন পর্যটকদের রাখা হবে ভোরের আলোতে। চতুর্থ দিন সকালের খাবারের পর সারাদিন সেবক কালীবাড়ি হয়ে বেঙ্গল সাফারি ঘুরে দেখানো হবে পর্যটকদের। সেদিনও রাতে ভোরের আলোতে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। পঞ্চম দিন সকালের খাবারের পর নিয়ে যাওয়া হবে ওদলাবাড়িতে। দার্জিলিং, ডুয়ার্সের পাশাপাশি এবার উত্তরবঙ্গের এইসব স্থান পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে পর্যটন ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন।