বাঙালির বিশ্বজয়! বিশ্বের এক নম্বর অ্যাক্সেলসেনকে হারিয়ে ফাইনালে লক্ষ্য সেন
বিরাট অঘটন ঘটালেন লক্ষ্য সেন। জার্মান ওপেনের সেমিফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর ও অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেলেন ভারতের এই ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ২০ বছরের লক্ষ্য জেতেন ২১-১৩, ১২-২১, ২২-২০ ফলে। শীর্ষ বাছাইয়ের বিরুদ্ধে তাঁর জিততে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট লাগে। বিশ্বের ১২ নম্বর লক্ষ্য এর আগে চার বারের সাক্ষাতে এক বারও জিততে পারেননি অ্যাক্সেলসেনের বিরুদ্ধে।
রবিবার ফাইনালে লক্ষ্যের সামনে তাইল্যান্ডের কুনলাভাত ভিতিদসার্ন। অন্য সেমিফাইনালে ভিতিদসার্ন হারান মালয়েশিয়ার লি জি জিয়াকে।
সেমিফাইনালে ২১ মিনিটের প্রথম গেমে লক্ষ্য শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন। ডেনমার্কের প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে প্রথম গেমে কোনও সুযোগই দেননি এ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জজয়ী লক্ষ্য। তাঁর গতির সঙ্গে কিছুতেই পাল্লা দিতে পারেননি অ্যাক্সেলসেন। ৪-১ পয়েন্টে এগিয়ে যান লক্ষ্য। সেখান থেকে ৯-৪ করে ফেলেন। এর পর অ্যাক্সেলসেন কিছুটা লড়াই করে ব্যবধান কমিয়ে ৭-৯ করেন। কিন্তু টানা চারটি পয়েন্ট জিতে লক্ষ্য ফের ব্যবধান বাড়িয়ে ১৩-৭ করেন। আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে দেন। পর পর পাঁচটি পয়েন্ট জিতে ১৮-১০ পয়েন্টে এগিয়ে যান। সেখান থেকে প্রথম গেম বার করতে কোনও সমস্যা হয়নি তাঁর।
দ্বিতীয় গেমে ম্যাচে ফেরেন অ্যাক্সেলসেন। শুরুতে অবশ্য লক্ষ্যই ৮-৩ পয়েন্টে এগিয়ে যান। কিন্তু নিজের উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে টানা পাঁচ পয়েন্ট জিতে নিয়ে ৮-৮ করেন অ্যাক্সেলসেন। সেখান থেকে ছন্দ হারিয়ে ফেলেন লক্ষ্য। দ্বিতীয় গেম জিতে ম্যাচে সমতা ফেরান অ্যাক্সেলসেন।
শেষ গেমের জন্য দু’জনেই নিজের সেরা খেলাটা তুলে রেখেছিলেন। নির্ণায়ক গেমে চূড়ান্ত লড়াই হয়। ক্রমশ লম্বা হতে থাকে এক একটি পয়েন্টের লড়াই। পুরোটাই ছিল স্নায়ুর যুদ্ধ। ২-২, ৪-৪, ৬-৬ থেকে অ্যাক্সেলসেন ১৫-৮ পয়েন্টে এগিয়ে যান। সেখান থেকে দুর্দান্ত লড়াই করে লক্ষ্য ব্যবধান কমিয়ে ১৫-১৭ এবং সেখান থেকে ১৭-১৯ করেন। তার পর ১৯-১৯, ২০-২০ স্কোর হয়। এই পরিস্থিতিতে যে কেউ ম্যাচ জিততে পারতেন। কিন্তু মাথা ঠাণ্ডা রেখে লক্ষ্য পর পর দু’টি পয়েন্ট জিতে নিয়ে অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে দেন।