ফের চীনে ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ, ঘরবন্দি গোটা জিলিন প্রদেশ
সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত হারে। গত দু’বছরে চীনে করোনা পরিস্থিতির এমন অবনতি হয়নি কখনওই। ফলে প্রশ্ন উঠছে, শি চিনফিং সরকারের ‘কোভিড-শূন্য’ রণকৌশল নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার উত্তর-পূর্ব চীনের জিনিন প্রদেশকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সেখানকার ২ কোটি ৪০ লক্ষ বাসিন্দাকে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে দিন কাটাতে হবে।
এই প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে চীনের কোনও প্রদেশ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করা হল। ২০১৯-এর শেষ পর্বে হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে করকোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মেলার পরে প্রথম পুরো প্রদেশে লকডাউন জারি হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণ ঠেকাতে পুরো প্রদেশটিকে বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।
সোমবার দক্ষিণ চীনের শেনঝেন শহরের ১ কোটি ৭৫ লক্ষ বাসিন্দাকেও গৃহবন্দি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন। সে দেশের অন্যতম প্রধান প্রযুক্তি ও বাণিজ্যকেন্দ্রে আগামী এক সপ্তাহের জন্য জারি করা হয়েছে লকডাউন। রাজধানী বেজিংয়ের পাশাপাশি শাংহাইয়ের মতো শহরেও বিভিন্ন এলাকায় জারি হয়েছে নানা বিধিনিষেধ।
চীনের অন্তত ১৮টি প্রদেশে ইতিমধ্যেই ডেল্টা ও ওমিক্রন স্ট্রেনের দাপটে সংক্রমণের ‘ক্লাস্টার’ ধরা পড়েছে। উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ইয়ানজি-র প্রায় সাত লক্ষ বাসিন্দাকে রবিবার থেকেই ঘরবন্দি করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, সে দেশে ইতিমধ্যেই ৯,০০০-এর বেশি সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। গোটা ২০২১ সালে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৮,৩৭৮।