গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ছাড়াল আড়াই হাজারের গণ্ডি
ক্রমেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ের পথে এগিয়ে চলেছে ভারত। কড়া বিধিনিষেধ এবং টিকাকরণে জোর দিয়ে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে সংক্রমণের গ্রাফ। কমেছে অ্যাকটিভ কেসও। তবে এখনও খানিকটা চিন্তায় রাখতে মৃত্যুহার। একদিকে ভারত যখন সুস্থতার পথে, তখন বিপর্যস্ত চিন। নতুন করে সে দেশে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৬৮ জন। যার মধ্যে রাজধানী দিল্লিতেই সংক্রমিত ১৩৬ জন। মহারাষ্ট্রে আবার এই সংখ্যা ছাড়িয়েছে দেড়শোর গণ্ডি। সেদিক থেকে অনেকটা স্বস্তিদায়ক বাংলার ছবিটা। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত ৩৫ জন। দেশে ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৯১৭। অ্য়াকটিভ কেসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৮ শতাংশে।
সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমলেও খানিকটা চিন্তায় রাখছে দেশের মৃত্যুহার। গতকালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় যেখানে করোনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৭ জন, সেখানে মঙ্গলবারের বুলেটিন বলছে, একদিনে দেশে করোনা বলি বেড়ে ৯৭। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৭৪ জনের।
স্বস্তিজনক দেশের সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ১৭১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৪ হাজার ৭২২ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭২ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৮০ কোটি ৪০ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১৯ লক্ষের বেশি। বুধবার অর্থাৎ ১৬ মার্চ থেকে দেশজুড়ে শুরু হবে ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ কর্মসূচি।
ভারতে করোনার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও চিনে নতুন করে দাপট দেখাচ্ছে মারণ ভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫ হাজার ২৮০ জন। ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও তা ধরা না পড়ার কারণে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই একাধিক শহরে জারি হয়েছে লকডাউন।