আট বছরে ন্যূনতম পেনশন বাড়ল না কেন? কেন্দ্রকে তোপ সংসদীয় কমিটির
কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) ন্যূনতম মাসিক পেনশন নিয়ে ফের শ্রম সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তোপের মুখে পড়ল শ্রমমন্ত্রক। মঙ্গলবার লোকসভায় এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করে সংসদীয় কমিটি সাফ জানিয়েছে, আট বছর আগে পিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশনের যে পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছিল, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করে পেনশন সংক্রান্ত বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া শ্রমমন্ত্রকের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। বাজেট বরাদ্দ বাড়েনি। এদিন লোকসভায় পেশ করা রিপোর্টে শ্রম সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুপারিশ করেছে, উচ্চ পর্যায়ের কমিটির মতামত মেনে ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ এমনভাবে বৃদ্ধি করা হোক যা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে যুক্তিসঙ্গত হয়।
স্বাভাবিকভাবেই শ্রম সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এদিনের রিপোর্টকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। গত শনিবার শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের (ইপিএফও) অছি পরিষদের বৈঠকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের ভিত্তিতে ইপিএফের সুদের হার বিগত ৪৪ বছরের মধ্যে সবথেকে কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ বৃদ্ধির ব্যাপারেও অছি পরিষদের বৈঠকে কোনওরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।
এইপরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালের এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম (ইপিএস) নিয়ে সংসদীয় কমিটির রিপোর্টকে লক্ষ্যণীয় বলেই মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ এক হাজার টাকা। মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ করা রিপোর্টে শ্রম সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি বলেছে, আট বছর আগের নির্ধারিত পরিমাণ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে যথেষ্ট নয়। ইপিএফ পেনশন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০১৮ সালে শ্রমমন্ত্রক একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করেছিল। তারা ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ এক হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দু’হাজার টাকা করার ব্যাপারে সুপারিশও করেছিল। যদিও অর্থমন্ত্রক এই ব্যাপারে রাজি হয়নি। রিপোর্টে তাও উল্লেখ করেছে সংসদীয় কমিটি।
সম্প্রতি একই উদ্দেশ্যে আরও একটি কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রক। এর উল্লেখ করেই শ্রম সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি রিপোর্টে বলেছে, ইপিএফও পেনশন স্কিমের উদ্বৃত্ত কিংবা ঘাটতির পরিমাণ খতিয়ে না দেখে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ঘটানো যে যাবে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত। আর তাই শ্রমমন্ত্রক নিজের উদ্যোগে অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করে উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশ মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।