গুয়াহাটি ও উদলগিরিতে পুলিশি এনকাউন্টারের মৃত্যু হল ধর্ষণে অভিযুক্ত দু’জনের
অসমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনকাউন্টারে (Assam Encounter) মৃত্যু হল ধর্ষণে অভিযুক্ত (Rape Accused) ২ জনের। গুয়াহাটি (Guwahati) ও উদলগিরিতে (Udalgiri) এই এনকাউন্টারের ঘটনা দুটি ঘটেছে। দু’ক্ষেত্রেই হেফাজত থেকে পুলিসের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে হামলার চেষ্টা করে ধৃতরা। পালাবার চেষ্টা করে তারা। ফলে বাধ্য হয়েই পাল্টা গুলি চালায় পুলিস। এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ২ অভিযুক্তের। এমনটাই দাবি করেছে অসম পুলিস।
অসম পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এনকাউন্টারে (Assam Encounter) নিহত ধর্ষণে অভিযুক্তদের (Rape Accused) একজনের নাম বিকি আলি (Biki Ali)। বয়স বছর ২০। অভিযোগ, বিকি ও তার আরও ৪ জন বন্ধু মিলে ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ‘গণধর্ষণ’ (Gangrape) করে ১৬ ফেব্রুয়ারি। এমনকি অভিযুক্তদের মধ্যে ২ জন আবার ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও-ও করে। পাশাপাশি, হুমকি দেয় যে এই ঘটনার কথা কাউকে বললে, সেই ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করে দেবে বলে। তারপর আবার সেই ভিডিও ডিলিট করে দেওয়ার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গুয়াহাটির (Guwahati) হোটেলে ওই ছাত্রীকে ডেকে এনে, আবার তাকে যৌন হেনস্থা করে। ১৯ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনা ঘটে।
এরপরই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার পুলিস বিকিকে (Biki Ali) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর পুলিস যখন অপরাধের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে বিকিকে সঙ্গে নিয়ে যায়, তখন পুলিসি হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে বিকি। পুলিসের ওই তদন্তকারী দলটির উপর হামলার চেষ্টা করে। তখনই পুলিস গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিকির।
অন্যদিকে, উদলগিরি (Udalgiri) জেলায় পুলিসের এনকাউন্টারে (Assam Encounter) নিহত হয় রাজেশ মুন্ডা (Rajesh Munda) নামে অপর এক অভিযুক্ত। অভিযোগ, ১০ মার্চ অসমের ধানসিরি চা-বাগানে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে খুন (Minor Rape And Murder) করে রাজেশ। এক্ষেত্রেও রাজেশকে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য নিয়ে গিয়েছিল পুলিস। সেইসময় পুলিস ভ্যান থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত রাজেশ মুন্ডা। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায় পুলিস। গুলিবিদ্ধ রাজেশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।