চোর ভাঙল মূর্তি, গুজব ছড়াচ্ছে গেরুয়া বাহিনী
গত সোমবার রাতে শিলিগুড়ির গেটবাজারে শিবশক্তি কালীমন্দিরে চুরি হয় । চোর চুরিতে সফল না হয়ে গয়না খোলার চেষ্টা করতে গিয়ে কালীমূর্তি ভেঙে চলে যায়। সকালে পুরোহিত গিয়ে দেখে সকলকে জানাতেই ভিড় জমে যায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় দুটি বাঁশ। বোঝা যায় যে, তালাবন্ধ গ্রিল ভেঙে ঢুকতে না পেরে বাঁশ দিয়ে গয়না খোলার চেষ্টা করতেই মূর্তি ভেঙে থাকতে পারে। আগেও মোট ৭ বার চুরি হয়েছে ওই মন্দিরেই পুলিশকে তা জানানোও হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে চেষ্টা করছে পুলিশ।
কিন্তু এই সাধারণ ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছে। বিকৃত করে মানুষের সামনে পরিবেশন করা হয়েছে। কোন এক বিশেষ সম্প্রদায়ের ওপর দোষ চাপানো হয়েছে। গোটা দেশে এই ভুল খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগেও এমন প্রচুর ঘটনার নজির আছে। কিন্তু শিলিগুড়িতে কোনওদিনই ধর্মীয় বিদ্বেষ বা অশান্তি ঘটেনি। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে যে কোনও উৎসবকে ঘিরে দেখা যায় সম্প্রীতির পরিবেশ। সাধারণ ঘটনা নিয়ে যেভাবে বিদ্বেষ ছড়ানো চলছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সকলে।
উল্লেখ্য, Roop Darak নামের এক প্রোফাইল থেকে টুইটারে শিলিগুড়ির মন্দিরের ছবি দিয়ে বলা হয়েছে— ‘শিলিগুড়িতে দেবী মা কালীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। এটা নিয়ে ধর্মনিরপেক্ষরা কিছু মন্তব্য করছে না।’ (এই প্রোফাইলের অন্যান্য টুইট গুলোতে তে দেখা যাচ্ছে এই ব্যক্তি বিজেপির জন্য ভোট চাইছে)
@vaishnavi_mish নামে আরেক জন টুইট করে একইরকম কথা বলেছেন।
‘Stand with Hindu’ নামে একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে জিহাদিরা কালীমূর্তি ভেঙে দিয়েছে।
অথচ মন্দিরের পুরোহিত নিজে জানিয়েছেন, এর আগে ৭ বার চুরি হয়েছে। অবাক কথা হল, যারা এমন ছড়াচ্ছে তাদের একজন নিজেকে এক প্রধান রাজনৈতিক দলের যুব মোর্চার পদাধিকারী পরিচয় দিয়েছে।