ইউক্রেন- রাশিয়া সংঘাতে জৈব অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা, এবার এবিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে মুখ খুলল ভারত
কিছুতেই থামছে না রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। ক্রমে আরও ঘোরাল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। যুদ্ধে আণবিক ও জৈব অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রুশ সেনা বলে অভিযোগ জানিয়েছে আমেরিকা। পালটা ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে জৈব হাতিয়ার তৈরির অভিযোগ এনেছে মস্কো। এহেন পরিস্থিতিতে যুদ্ধে জৈব অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘে সরব হয়েছে ভারত।
শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে যাতে জৈব ও বিষাক্ত অস্ত্র ব্যবহার না করা হয়, সেই আরজিই জানাল ভারত। এদিন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের সহকারী স্থায়ী প্রতিনিধি আর রবীন্দ্র বলেন, “যুদ্ধে জৈব ও বিষাক্ত অস্ত্র যাতে ব্যবহার না হয়, তা নিশ্চিত করা ও মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। ভারত বরাবরই বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড টক্সিন ওয়েপন্স কনভেনশন মেনে চলার কথা বলে। যুদ্ধে গণবিধ্বংসী অস্ত্র নিষিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মণে করে ভারত। কারণ এই শ্রেণির অস্ত্র বিশ্বজুড়ে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালাতে পারে।” ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের তরফে বলা হয়, “ইউক্রেনের ক্রমশ খারাপ হতে চলা পরিস্থিতি নিয়ে ভারত অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমরা রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলা কূটনৈতিক স্তরের আলোচনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আমেরিকাকে একহাত নেন রুশ প্রতিনিধি ভাসিলি নেবেনজিয়া। তিনি বলেন, “ইউক্রেনে জৈব অস্ত্র তৈরি করছে আমেরিকা। এই বিষয়ে খোদ ইউক্রেনকে অন্ধকারে রেখেছে তারা। দেশটির জমিতে পেন্টাগন যে বেআইনি কাজ চালাচ্ছে সেই বিষয়ে আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হাতে প্রচুর তথ্য আসছে।” এই অভিযোগের পালটা দিয়ে মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড স্পষ্ট জানান, ইউক্রেনে কোনও জৈব অস্ত্র তৈরি করছে না আমেরিকা। যে গবেষণাগারের কথা রাশিয়া বলছে তা আসলে জনস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, দেখতে দেখতে তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে লড়াই করে চলেছে ইউক্রেন। যদি যুদ্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করতেও পিছপা হবে না রাশিয়া। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আমেরিকা। পালটা আমেরিকার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চাইয়ে ‘রুশোফোবিয়া’ বা রুশভীতি তৈরির চেষ্টার অভিযোগ এনেছে মস্কো।