দুই মেদিনীপুরে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত আরও ২১
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় নতুন করে ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। তাঁদের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের ১৭ জন, বাকি চারজন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। এই প্রথম তমলুক শহরে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটল। পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে পদুমবসান এলাকার ২৪ বছরের এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে তমলুক ও হলদিয়ায় দু’জনের সংক্রমণের রিপোর্ট জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে আসে। এছাড়াও সোমবার বিকেলে ন’জন এবং রাতে আরও দু’জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রামনগর-২ ব্লকের বিডিওর বাবাও। এগরা-১ ব্লকে একই পরিবারের চারজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় করোনা নিয়ে আতঙ্ক ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছে।
নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার অধীন কাঁথি-১ ব্লকে তিনজন এবং রামনগর-২ ব্লকে একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় জানিয়েছেন। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্য জেলার অধীনে মোট ১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মহিষাদল ব্লকে একজন, পটাশপুর-১ ব্লকে দু’জন, এগরা-১ ব্লকে পাঁচজন, পাঁশকুড়া ব্লকে দু’জন এবং কোলাঘাট ব্লকে একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে হলদিয়া এবং তমলুক পুরসভা এলাকায় আরও দু’জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন।
তমলুক শহরে পদুমবসান এলাকার যুবকটি গত ১৪ জুন মহারাষ্ট্র থেকে ফেরার পর বাড়িতেই ছিলেন। কেন তিনি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের পরিবর্তে বাড়িতে ছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শহরবাসী। মহারাষ্ট্র সহ পাঁচ রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার সরকারি নির্দেশ থাকলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সেটা ঠিকমতো মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। অধিকাংশ পরিযায়ী শ্রমিক বাড়িতেই চলে যাচ্ছেন। কোনওরকম নজরদারির ব্যবস্থা নেই বলেও অভিযোগ।
এগরা-১ ব্লকের ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আমদেই গ্রামে একই পরিবারের চারজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ওই পরিবারের চারজনই মহারাষ্ট্র থেকে ফিরে এসেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে এক দম্পতি ও তাঁদের আট বছরের মেয়ে এবং যুবকের ভাই আছেন। মহিষাদল, কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, পটাশপুর-১ ব্লক ও কাঁথি-১ ব্লকের আক্রান্তরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের একজন এবং দাসপুর-১ ব্লকের তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।