রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থামার ইঙ্গিত তুরস্কের
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine Conflict) বয়স প্রায় এক মাস হতে চলল। দুই দেশ একাধিকবার শান্তি আলোচনায় বসলেও এখনও মেলেনি রফাসূত্র। এর মধ্যেই তুরস্ক জানাল, রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে সমঝোতার আলোচনা কিছুটা এগিয়েছে। শীঘ্রই যুদ্ধ থামতে পারে।
সম্প্রতি তুরস্কের (Turkey) তরফে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই প্রস্তাবের উত্তরে সরকারি কোনও জবাব মেলেনি। তথাপি তুরস্কের দাবি, সমঝোতার দিকে এগোচ্ছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এইসঙ্গে তুরস্কের তরফে জানানো হয়েছে, দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা যদি চান তবে তারা জরুরি বৈঠকের আয়োজন করতে রাজি আছে।
উল্লেখ্য, জেলেনস্কি ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, পুতিন ও তাঁর মুখোমুখি বৈঠকেই একমাত্র যুদ্ধের অবসান হতে পারে। তিনি বলেন, “যদি আমাদের এই মারণ যুদ্ধ থামানোর এক শতাংশ সুযোগও থাকে, আমি মনে করি সেই সুযোগ আমাদের নিতে হবে। আলোচনাই সেই সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে, পুতিনের সঙ্গে আলোচনা… সংলাপই একমাত্র উপায়। আমি মনে করি, আমরা দু’ জন, আমি এবং পুতিন এই বিষয়টা নিশ্চিত করতে পারি।” ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যদি আমাদের আলোচনাতেও তা সম্ভব না হয়, তাহলে বুঝতে হবে এটাই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু।
উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ইউক্রেনের দুই দেশের সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক তুরস্কের। সেই সুত্রেই দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে শান্তি বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে তারা। যেখানে তৃতীয়পক্ষ হিসেবে থাকতে পারেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান।
প্রসঙ্গত, এদিকে যতদিন যাচ্ছে ইউক্রেনে আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়াচ্ছে রুশ সেনা। প্রাণ বাঁচাতে বহু মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, ভিনদেশের আশ্রয়ে জুটেছে শরণার্থী (Refugee) তকমা। ছিন্নভিন্ন শৈশবও। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট বলছে, ইতিমধ্যে ৫৫ হাজারের বেশি শিশু উদ্বাস্তু হয়ে গিয়েছে। রুশ সেনার গুলি, বোমায় জখম অবস্থায় নানা দেশের হাসপাাতালে ভরতি তারা। রোমে তেমনই এক হাসপাতালে গতকাল জখম ইউক্রেনীয় শিশুদের দেখতে হাজির হন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis)। শিশুদের স্পর্শ করে আশীর্বাদের পাশাপাশি তাদের জন্য প্রার্থনা করলেন তিনি, আশ্বাস দিলেন অভিভাবকদের। এইসঙ্গে ‘যুদ্ধবাজ’ তকমা দিয়ে রাশিয়ার নিন্দায় মুখর হলেন।