যক্ষ্মা নিবারণে দেশের মধ্যে সেরার স্বীকৃতি পেল বাংলা, স্বর্ণ পদক পূর্ব মেদিনীপুরের
ফের সেরার স্বীকৃতি বাংলার। যক্ষ্মা (Tuberculosis) নিরাময় কর্মসূচিতে সারা দেশের মধ্যে সেরার স্বীকৃতি পেল পূর্ব মেদিনীপুর – নন্দীগ্রাম এবং নদিয়া জেলা। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পেল সোনার পদক। নদিয়া (Nadia) পেয়েছে ব্রোঞ্জ পদক।
জাতীয় যক্ষ্মা নিরাময় কর্মসূচির আওতায় দিল্লি (Delhi) থেকে রাজ্যকে এমন চিঠি পাঠানো হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে যক্ষ্মামুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছে দেশের সব রাজ্য। মাপকাঠি ধরা হয়েছে ২০১৫ সালকে। সেই মাপকাঠির ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার অন্তত ৬০ শতাংশের বেশি মানুষকে যক্ষ্মামুক্ত।
এর মধ্যে অবশ্যই অগ্রগন্য পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম (Nandigram)। সেখানে পুরনো রোগীদের যেমন যক্ষ্মামুক্ত করা হয়েছে, তেমনই নতুন রোগীদের চিহ্নিত করে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৫ সালের ভিত্তিতে নদিয়া জেলার যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা ২০ শতাংশ কমানো হয়েছে। রাজ্যের যক্ষ্মা নিরাময় কর্মসূচির নোডাল অফিসার ডা বরুণ সাঁতরার কথায়, “আগামী ২৪ তারিখ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীনে থাকা কেন্দ্রীয় টিবি ডিভিশন এই সম্মান দিয়েছে।”
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বাংলার এই স্বীকৃতি নতুন নয়। এর আগে গণটিকাকরণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যকেই দেশের এক নম্বরে স্থানে বসায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (ন্যাশনাল হেলথ মিশন- সংক্ষেপে এনএইচএম)। মিশনের অধিকর্তা তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব বন্দনা গুরনানি স্বাস্থ্য দপ্তরে চিঠি দিয়ে সেই সময় জানিয়েছিলেন, দেশের মধ্যে গণটিকাকরণে পশ্চিমবঙ্গই শীর্ষে। শুধু তা-ই নয়, টিকা নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় নজরদারির ক্ষেত্রেও বড় রাজ্যগুলির মধ্যে বাংলা পয়লা নম্বরে। এই সাফল্যের জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরেকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তিনি।