ওড়িশায় বন্ধ হল ‘বচ্চন পাণ্ডে’-র শো, সিনেমা হলে শুধু ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ চলার দাবি

অন্যদিকে, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বলিউড অভিনেতা নানা পাটেকর। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমা প্রসঙ্গে তাঁর মতামত জানতে চান সাংবাদিকরা।

March 22, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

‘দ্য কাশ্মীর ফাইলসে’র জনপ্রিয়তার কারণে এবার ডুবল বচ্চন পাণ্ডে! এমনিতেই বক্স অফিস রিপোর্ট বলছে দ্য কাশ্মীর ফাইলস ছবির চাপে পড়ে বচ্চন পাণ্ডের ব্যবসা বেশ কম। আর এবার ওড়িশায় যা ঘটল, তা প্রমাণ করে দিচ্ছে, এখন সিনেপ্রেমীরা একটা ছবি দেখার জন্যই মুখিয়ে আছেন।

খবর অনুযায়ী, সোমবার ওড়িশার সম্বলপুরের এক মাল্টিপ্লেক্সে হঠাৎ করেই কয়েকজন ঢুকে পড়ে। সিনেমা হলের ভিতর ঢুকে রীতিমতো গায়ের জোরে অক্ষয় কুমারের ‘বচ্চন পাণ্ডে’ ছবির সমস্ত শো বন্ধ করতে বলে। তাঁদের দাবি, হলে শুধু চলবে বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’।

এই ঘটনার পরেই মাল্টিপ্লেক্সের তরফ থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়, হঠাৎ করেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। এরকমটা যে হবে তা আন্দাজও করা যায়নি। তবে এখন অবস্থা স্থিতিশীল। যেকোনও সময়ে যা খুশি ঘটতে পারে।

অন্য এক হলের মালিক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রত্যেক শোয়েই দর্শক আসছে। যার মধ্যে কেউ কেউ ছবি দেখছেন। কেউ কেউ অকারণেই উত্তেজনা করছেন। এমনকী, কেউ কেউ হলকর্মীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়াচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, আমরা নাকি সিনেমা থেকে দৃশ্য কেটে বাদ দিচ্ছি। সেই সব মানুষদের বোঝাতেই পারছি না ডিজিটালের যুগে দৃশ্য বাদ যাওয়া যায় না।

‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা বলিউড। নামজাদা তারকারা এই ছবির ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। সম্প্রতি এই দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে এই ছবি দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন আমির খান। আমির জানান, ”কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে যা হয়েছে তা সত্যিই খুব দুঃখের। এই ঘটনা ভারতীয় ইতিহাসের হৃদয়বিদারক একটা অংশ। যা গভীর ক্ষতের জন্ম দিয়েছে। আমার মনে হয়, এমন একটি বিষয় নিয়ে ছবি হওয়া উচিত ছিল। এই ছবির গোটা টিমকে শুভেচ্ছা।”

অন্যদিকে, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বলিউড অভিনেতা নানা পাটেকর। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমা প্রসঙ্গে তাঁর মতামত জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তর দিতে গিয়ে অভিনেতা জানান, হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এই ভারতেরই বাসিন্দা। দুই সম্প্রদায়েরই শান্তিতে থাকা উচিত। একে অন্যকে প্রয়োজন। পরস্পরকে ছাড়া থাকতে পারবেনও না। কোনও একটি ছবির জন্য বিভাজনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়া ঠিক নয়। সকলেই যেন শান্তিতে থাকেন। এমন ছবির মাধ্যমে যাঁরা সেই চেষ্টা করছেন, তাঁদের কাছে জবাব চাওয়া উচিত। জানানো উচিত, এমনটা করলে সমাজ টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen