লাগাতার সাত সপ্তাহ নিম্নমুখী দেশের করোনা গ্রাফ, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ২৫৩১ জন
লাগাতার সাত সপ্তাহ নিম্নমুখী দেশের করোনা গ্রাফ। দেখতে দেখতে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা নেমে এসেছে দু’হাজারের নিচে। সবদিক বিবেচনা করে গতকালই সমস্তরকম করোনা বিধি নিষেধ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। আগামী ৩১ মার্চ থেকে মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া আর কোনও করোনা বিধি মানতে হবে না দেশবাসীকে। এই ঘোষণার পরদিনই অবশ্য সামান্য বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। যদিও সেটা তেমন চিন্তার কিছু নয়।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৩৮ জন। যা গতকালের তুলনায় সামান্য বেশি। তবে দেশে ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২২ হাজার ৪২৭ জন। আপাতত দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.০৫ শতাংশ। সংক্রমণের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণে দেশের মৃত্যুহারও। রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭ জন। বুধবার বুলেটিনে যা ছিল ৬২। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৭২ জনের।
অন্যান্য সূচকের মতোই স্বস্তিজনক দেশের সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫৮৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২ হাজার ৫৩১ জন। সব মিলিয়ে দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক হলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ছে ওমিক্রনের নয়া প্রজাতি ‘স্টেল্থ ওমিক্রনে’র দাপট। তাই আগেভাগে এই ভাইরাস রুখতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্র।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৮২ কোটি ২৩ লক্ষ্যের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন সাড়ে ৩১ লক্ষের বেশি। দেশজুড়ে চলছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। তথ্য বলছে, ইতিমধ্যেই ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সি ৫০ লক্ষ কিশোর কিশোরী করোনার টিকা পেয়েছে। এদিকে টিকাকরণে জোর দেওয়ার পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে প্রতিটি রাজ্যকেই কোভিড পরীক্ষায় জোর দিতে বলা হয়েছে। গতকাল দেশে ৬ লক্ষের ৬১ হাজার ৯৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।