বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো মণিপুরে
তিন বছরের মাথায় মণিপুরে সরকার খোয়াতে চলেছে বিজেপি। ইস্তফা দিয়েছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী, এনপিপি-র ওয়াই জয়কুমার সিংহ। দলের চার বিধায়ককে আগেই বিজেপি সরকার থেকে পদত্যাগ করতে বলেছিল এনপিপি। আজ তারা তুলে নিল সমর্থন। বিজেপির তিন বিধায়কও দল ছেড়েছেন এ দিন। জোট থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিরিবামে নির্দল হিসেবে জেতা একমাত্র তৃণমূল বিধায়কও। সকলে কংগ্রেসকে সমর্থন করার কথা বলেছেন। ৬০ সদস্যের বিধানসভায় কার্যকর বিধায়ক সংখ্যা হতে চলেছে ৫২। কারণ, এক মন্ত্রীর বিধায়কপদ ইতিমধ্যেই খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আর যে ৭ বিধায়ক কংগ্রেসের টিকিটে জিতেও বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁদের বিধায়কপদ খারিজ হওয়াও সময়ের অপেক্ষা। সরকার গড়ার ম্যাজিক সংখ্যা ২৭ হওয়ার সম্ভাবনা।
কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা এখন ২০। এ দিন রাতেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেসের ওক্রাম ইবোবি সিংহ বিজেপি-ছুট বিধায়কদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক দাবি করেন, তাঁদের সঙ্গে এখনই ২৬ জন আছেন। বিজেপির আরও কয়েক জন আসবেন। শীঘ্রই তাঁরা সরকার গড়ার দাবি নিয়ে রাজভবনে যাবেন। বিজেপি জোটের বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩। বিজেপির ১৮, এনপিএফের ৪ ও লোক জনশক্তি পার্টির ১। এই অবস্থায় রাজ্যে হয় রাষ্ট্রপতি শাসন হবে, নয়তো কংগ্রেসকে সরকার গড়তে ডাকতে পারেন রাজ্যপাল। কিন্তু মাঝে অমিত শাহের চালে অঙ্ক ফের বদলে যায় কি না, সেটাই প্রশ্ন। অসম দখলের পরে অমিতই গোটা উত্তর-পূর্ব কংগ্রেস-মুক্ত করতে কংগ্রেস-বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে নেডা জোট গড়েছিলেন। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। বিজেপি মণিপুরে প্রথম বার ক্ষমতায় আসে ২০১৭-তে। কংগ্রেস ২৮ আসন পেয়ে একক বৃহত্তম হলেও ২১ আসন পাওয়া বিজেপি অন্যান্য বিধায়কের সমর্থন জোগাড় করে কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করে। কংগ্রেস ঘোড়া কেনাবেচা ও রাজ্যপালকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিল তখনই। লকডাউনে যোগাযোগের সমস্যাকে কাজে লাগিয়ে এ বার পাশা উল্টে দিতে চাইছে কংগ্রেস।