চিঁড়ের আমি, চিঁড়ের তুমি, চিঁড়ে দিয়ে যায় চেনা
চিঁড়ে – বাঙালির জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে যদি কোনও খাবার তা এই চিঁড়ে। গরমকালে দই দিয়ে হোক কিংবা অসুখের সময় জলে ভেজানো, চায়ের সাথে চিঁড়ে ভাজাই হোক বা শীতকালে চিঁড়ের মোয়া। চিঁড়ে ছাড়া বাঙালি? ভাবাই যায় না।
দই চিঁড়ে
তীব্র গরমে পেট ঠাণ্ডা রাখার উপযুক্ত খাবার দই চিঁড়ে। চিঁড়ে ধুয়ে জলে ভিজিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর জল থেকে তুলে নিয়ে তাতে কলা, দই, প্রয়োজন মত চিনি মিশিয়ে নিন। তৈরি দই-চিঁড়ে।
চিঁড়ের ভাজা
চিঁড়ের সব খাবারই বেশ পুষ্টিকর। বাজারে চিঁড়ে ভাজার প্যাকেট সহজেই পাওয়া যায়। চায়ের সাথে সেরা জুটি।
চিঁড়ের মোয়া
প্রথমে শুকনো কড়াইয়ে চিঁড়ে ভেজে নিয়ে তারপর আখের গুড় জাল দিয়ে তাঁর সাথে চিঁড়ে দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা হলে তা মোয়ার আকারে গড়ে নিলেই তৈরি চিঁড়ের মোয়া
চিঁড়ের পোলাও
ছোট-বড় সকলের জন্য মজাদার ও পুষ্টিকর এই চিঁড়ের পোলাও। কড়াইয়ে সামান্য তেল দিয়ে পেঁয়াজ সামান্য বাদামী হলে পছন্দের সবজিগুলো ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ নাড়া চাড়া করুন, স্বাদ অনুযায়ী নুন দিয়ে সব ভালো করে সেদ্ধ করুন।
ভালোমত সিদ্ধ হয়ে গেলে এতে একটি ডিম ফেটিয়ে ঢেলে দিন। সব মিশে গেলে জল ঝাড়ানো চিঁড়ে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে অল্পআঁচে কিছুক্ষণ (৫ মিনিট) রান্না করুন। চিড়ার পোলাও পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। বাচ্চাদের জন্য সন্ধ্যেবেলার রসনাতৃপ্ত করতে বাধ্য।
চিঁড়ের পায়েস
প্রথমে দুধ জ্বাল ঘন করতে হবে। এরপর একটি পাত্র গরম করে তাতে ১ টেবিল চামচ ঘি দিতে হবে ও অর্ধেক কাজু বাদাম ও পেস্তা বাদাম, কিসমি হালকা ভেজে নিতে হবে যাতে পুড়ে না যায়।
এবার আর একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে চিড়া ভেজে নিতে হবে। তারপর ফুটন্ত জ্বাল দেয়া দুধে প্রথমে বাদাম ও কিসমিস এবং পরে ভাজা চিঁড়ে দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে, সাথে চিনি, খোয়া ক্ষীর ও লবণ দিয়ে আবার নাড়তে হবে।
প্রায় ৫ মিনিট পর তৈরি চিঁড়ের পায়েস রান্না! ঠাণ্ডা হলে পায়েসের উপর বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন!
চিঁড়ের বড়া
ভেজানো চিঁড়ে, পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা কুছি, পরিমাণমতো নুন-চিনি, হলুদ, ধনেপাতা কুচি, গরম মশলা গুড়ো, ফেটানো ডিম ভালো করে মিশিয়ে তা বড়ার আকারে গড়ে ডুবো তেলে ভাজলেই তৈরি মুচমুচে চিঁড়ের বড়া। সন্ধ্যেবেলার স্ন্যাক্স হিসেবে জমে যাবে