আমেরিকার কাছে প্রতিদিন ৫০০ জ্যাভলিন ও স্টিঙ্গার মিসাইলের আবেদন ইউক্রেনের
একমাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। লড়াইয়ের গতিপ্রকৃতি থেকে স্পষ্ট যে ইউক্রেনীয় ফৌজের ত্রাতা হয় উঠেছে জ্যাভলিন ও স্টিঙ্গার মিসাইল। একের পর এক জ্বলতে থাকা রুশ টি-৯০ ট্যাঙ্ক ও চপারের ছবিই স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে প্রবল শক্তিশালী পুতিন বাহিনীর ত্রাস হয়ে উঠেছে এই মার্কিন হাতিয়ারগুলি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ইউক্রেনীয় ফৌজের রসদ ফুরিতে আসছে। তাই এবার আমেরিকার কাছে প্রতিদিন ৫০০ জ্যাভলিন ও স্টিঙ্গার মিসাইল জোগান দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে জেলেনস্কি সরকার।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রুশ ফৌজ। তারপর থেকেই ডেভিড বনাম গোলিয়াথের লড়াইয়ের দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। যুদ্ধের দুসপ্তাহের মধ্যেই অর্থাৎ ৭ মার্চের মধ্যেই ইউক্রেনকে প্রায় ১৭ হাজার ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী মিসাইল ও ২ হাজার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দেয় আমেরিকা ও ন্যাটো দেশগুলি। তারপরও মস্কোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও কিয়েভকে লাগাতার অস্ত্রের জোগান দিচ্ছে ওয়াশিংটন ও পশ্চিমের দেশগুলি। সিএনএন সূত্রে খবর, আমেরিকার কাছে প্রতিদিন ৫০০ জ্যাভলিন ও স্টিঙ্গার মিসাইল জোগান দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জেলেনস্কি সরকার। বলে রাখা ভাল, যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ টি-৯০ ট্যাঙ্কের যম বলে মনে করা হয় অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক জ্যাভলিন মিসাইলকে। পাশাপাশি, রুশ অ্যাটাক হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমানগুলির কাছেও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে একদা আফগান মুজাহিদদের প্রিয় স্টিঙ্গার মিসাইল।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই মিসাইল, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেম ও যুদ্ধবিমান চেয়ে বারবার আমেরিকা ও ন্যাটোর কাছে আরজি জানাচ্ছে কিয়েভ। আর তাতে বিপুল সাড়াও মিলেছে। বুধবার ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা ইউক্রেনে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী এবং ভারী বিস্ফোরক-সহ আরও ছ’হাজার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাবে। পাশাপাশি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে প্রায় ৩ কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৫১ কোটি) আর্থিক সহায়তা দেবে। উল্লেখ্য, ইউক্রেনীয় ফৌজের সবচেয়ে প্রিয় হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে জ্যাভলিন। কার্যত ইউক্রেনের ত্রাতা হিসেবে সৈনিকরা ওই অস্ত্রের নাম রেখেছে ‘সন্ত জ্যাভলিন’।
এদিকে, ইউক্রেনকে হাতিয়ার দিলে ফল ভাল হবে না বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া । কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২০ কোটি ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকার অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই হোয়াইট হাউসকে সতর্ক করে ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা এ বার ইউক্রেনে অস্ত্রবহনকারী কনভয়গুলোকে লক্ষ্য করেই হামলা চালাবে।