কথা বলা তো দূরের, যোগীর শপথে মোদীর মঞ্চে উঠতেই দেওয়া হল না প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রীকে
শুক্রবার দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর ডেপুটি হিসেবে শপথ নেন কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং ব্রজেশ পাঠক। উল্লেখ্য, ভোটে হারলেও কেশব প্রসাদ নিজের স্থান ধরে রাখেন যোগীর মন্ত্রিসভায়। তবে দীনেশ শর্মা প্রথম দফায় যোগীর ডেপুটি থাকলেও এবার তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। এহেন দীনেশ শর্মা শুক্রবার যোগী আদিত্যনাথের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মঞ্চে উঠতে গেলে বাধা প্রাপ্ত হন। উল্লেখ্য, দীনেশ শর্মা উত্তরপ্রদেশ বিধান পরিষদের সদস্য।
শুক্রবার লখনউতে ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হয়। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, শিল্পপতি এবং অন্যান্য রাজ্যের মন্ত্রীরাও । ছিলেন অনুরাগ ঠাকুর, মুখতার আব্বাস নকভি, নরেন্দ্র সিং তোমর, ধর্মেন্দ্র প্রধান, নীতিন গড়করি, পীযূষ গয়াল, ভূপেন্দ্র যাদব, মহেন্দ্র নাথ পাণ্ডে, স্মৃতি ইরানি, হরদীপ সিং পুরী, অন্নপূর্ণা যাদব, এবং শোভা করঞ্জলে।
উত্তরপ্রদেশে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এবারও সরকার গড়ে বিজেপি। তবে এবার কেশব প্রসাদ মৌর্যসহ মোট ১০ জন মন্ত্রী হেরে যান নির্বাচনে। এবারের যোগী মন্ত্রিসভায় প্রথমবার মন্ত্রী হয়েছেন ৩১ জন। বাদ পড়েছেন পুরোনো ২২ জন মন্ত্রী। পুরোনো মন্ত্রীদের মধ্যে ২১ জন নিজেদের পদ ধরে রেখেছেন।
প্রসঙ্গত, সমাজবাদী পার্টি প্রার্থী পল্লবী প্যাটেলের কাছে সিরাথু কেন্দ্র থেকে হেরে যান যোগীর ডেপুটি তথা উত্তরপ্রদেশে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তখন থেকেই কানাঘুষো, জল্পনা চলছিল কেশবের ভবিষ্যত নিয়ে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, কেসবকে যোগীর ডেপুটি করা নিয়ে দল বিভিক্ত ছিল। তবে এত কিছুর মাঝে শেষ পর্যন্ত যোগীর ডেপুটি পদে ঠাঁই পেলেন কেশব। তবে মন্ত্রিসভায় নিজের স্থান ধরে রাখতে পারলেন না দীনেশ শর্মা।