বগটুই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মৃত্যু হল ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হওয়া নাজেমা বিবির
রামপুরহাটের (Rampurhat)বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হল আরও একজনের। সোমবার সকালে রামপুরহাট হাসপাতালে নাজেমা বিবি নামে এক মহিলা প্রাণ হারালেন। তাঁর বয়স ৪০ বছর। ২১ তারিখ রাতে বগটুই গ্রামে নাজেমার বাড়িতে বোমাবাজি চলে, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। শরীরের বেশিরভাগ অংশ অগ্নিদগ্ধ (Burn)অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি হন। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী বগটুই গিয়ে হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান। চিকিৎসার খরচও দেন। রবিবার রাত থেকে নাজেমা বিবির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল। আর সোমবার সকালে মৃত্যু হল তাঁর। সরকারি হিসেবে এ নিয়ে বগটুই গ্রামে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯।
জানা গিয়েছে, ২১ তারিখ রাতে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পর বগটুই গ্রামে (Bogtui) শেখলাল শেখের বাড়িতে হামলা চলে বলে অভিযোগ। ছোঁড়া হয় বোমা, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শেখলালের স্ত্রী নাজমা বিবি পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। শরীরে ৬৫ শতাংশ পুড়ে যায়। তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। নাজেমা বিবির চিকিৎসার খরচ বাবদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১ লক্ষ টাকা তুলে দেন। রবিবার সিবিআই তদন্তকারী দল হাসপাতালে গিয়ে তাঁর বয়ান রেকর্ড করেন। তাতেই নাজেমা বিবি তাঁর উপর অত্যাচারের কথা জানিয়েছিলেন। তবে শেষপর্যন্ত নাজেমা বিবিকে বাঁচানো গেল না।
এদিকে, সোমবারও সিবিআই (CBI) তদন্তকারী দল নিজেদের কাজ শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, বগটুই কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনকে রবিবার প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়েছিল। সোমবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। অন্য়দিকে, অগ্নিকাণ্ড থেকে কোনওক্রমে বেঁচে যাওয়া মিহিলাল শেখকে সিবিআই তলব করলেও তিনি গেলেন না। শারীরিক অসুস্থতার কথা তিনি জানিয়ে দেন সিবিআই কর্তাদের। সোমবার বাতাসপুরে মিহিলালের বাড়িতে আসতে পারে সিবিআই।