৫ উইকেটে লখনউকে হারিয়ে হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিল গুজরাত টাইটান্স
কার্যত হারের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় ছিনিয়ে নিল গুজরাত টাইটান্স। সোমবার লখনউ সুপার জায়ান্টসকে তারা হারাল ৫ উইকেটে। কেএল রাহুলের লখনউকে হারিয়ে দিলেন গুজরাতের আর এক রাহুল। রাহুল তেওয়াটিয়ার দাপটে জিতল গুজরাত।
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। শুরুটা স্বপ্নের মতো হয় তাদের। প্রথম বলেই কেএল রাহুলকে তুলে নেন মহম্মদ শামি। গত তিন বার ব্যাট হাতে অন্যতম সফল ক্রিকেটার ছিলেন রাহুল। প্রথম বলে তাঁকে হারিয়ে মুষড়ে পড়ে লখনউ শিবির। শামি এখানেই থামেননি। নিজের পরের ওভারে তুলে নেন আর এক বিধ্বংসী ব্যাটার কুইন্টন ডি’কককে। তার পরের দু’ভারে পর পর ফেরেন এভিন লিউইস এবং মণীশ পান্ডে। ২৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে লখনউ।
সেখান থেকেই খেলা ধরলেন দীপক হুডা এবং নবাগত আয়ুষ বাদোনি। আইপিএলে বহু যুদ্ধের নায়ক হুডা। আগে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন। সোমবারও দলের ধস আটকে দিলেন তিনি। সঙ্গে পেলেন বাদোনিকে। আইপিএলে এটাই অভিষেক ম্যাচ ছিল ২২ বছরের বাদোনির। কিন্তু একটুও সমস্যায় পড়েননি তিনি। দীপক যখন এক প্রান্ত থেকে বোলারদের উপর চড়াও হচ্ছিলেন, অপর প্রান্তে তিনি তখন খুচরো রান নিয়ে সচল রাখছিলেন স্কোরবোর্ড। পঞ্চম উইকেটে দু’জনে যোগ করেন ৮৭ রান। ব্যক্তিগত ৫৫ রানে ফিরে যান হুডা।
দীপক ফেরার পর আক্রমণাত্মক খেলে অর্ধশতরান করেন বাদোনিও। সঙ্গ দেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। বাদোনি ৫৪ রানে ফিরলেও ভাইয়ের দল গুজরাতের বিরুদ্ধে অপরাজিত থেকে যান ক্রুণাল।
লখনউও বল করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিল। শামির মতোই পর পর দু’টি উইকেট নিয়ে চমকে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার দুষ্মন্ত চামিরা। প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ফিরে যান কেকেআরের প্রাক্তন ওপেনার শুভমন গিল। সোমবার ফিল্ডিং করার সময় তিনি দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নিলেও ব্যাট হাতে সফল হলেন না। ৪ রানে ফিরলেন বিজয় শঙ্কর। হার্দিক এবং ম্যাথু ওয়েড মিলে গুজরাতের ধস বাঁচালেন। দু’জনে মিলে তৃতীয় উইকেটে তুলে দিলেন ৫৭ রান। দাদা ক্রুণালের বলে হার্দিক ফেরেন। কিছুক্ষণে পরেই ওয়েডও আউট হন।
ম্যাচ তখন প্রায় বেরিয়েই গিয়েছিল গুজরাতের হাত থেকে। কিন্তু খেলা ঘুরিয়ে দেন ডেভিড মিলার এবং রাহুল তেওয়াটিয়া। দু’জনে মিলে ৬০ রান যোগ করেন পঞ্চম উইকেটে।