পাড়ায় পাড়ায় বিজ্ঞাপন, চৈত্রতেই কলকাতার হোর্ডিংয়ে পুজো আগমনী বার্তা

ইতিমধ্যেই বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। করোনার কবল থেকে ধীরে ধীরে মুক্ত হচ্ছে জনজীবন। ছন্দে ফিরছে মানুষ।

March 29, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
সংগৃহীত ছবি

আশ্বিন মাসে দুর্গার আগমন। কিন্তু পুজোর ঢাকে কাঠি ফাল্গুনেই। পাড়ায় পাড়ায় বিজ্ঞাপন, টিজারে পুজোর আগমনী ঘোষণা আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল কলকাতায়। এবার চৈত্রতে হোর্ডিংয়ে পুজো আগমনী। সব মিলিয়ে পুজো আসছে…… কয়েকমাস আগে থেকেই জানান দিতে শুরু করে দিলেন কলকাতার পুজো উদ্যোক্তারা।

দক্ষিণ কলকাতার প্রাণকেন্দ্র হাজরা। সেখানে ভরা বসন্তেই হয়ে গিয়েছিল আশ্বিনের অকাল বোধনের ঘোষণা। টাঙানো হয়ে গিয়েছিল ব্যানার। হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব এই উদ্যোগ নিয়েছে। এবার তাদের পুজো পা রাখছে ৮০ বছরে। তাই টিজারে বার্তা দেওয়া হয়েছে-‘আশিতেছে।’ ইতিমধ্যেই পুজোর থিম তৈরি। পুজোর শিল্পী কৃষাণু পাল। মে মাসের শুরুতে খুঁটি পুজোও সেরে ফেলতে চান উদ্যোক্তারা। এই পুজোর মুখ্য উপদেষ্টা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বলেছেন, করোনা অসুরের দাপটে গত দু’বছর কেউই দুর্গাপুজোর আনন্দ যথেষ্ট উপভোগ করতে পারেননি। আমাদের আশা এবার বাঙালি কিছুটা হলেও ফেরত পাবে তাঁর পরিচিত পুজোর চেনা গন্ধকে। কমিটির সহকারী সম্পাদক সায়নদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, একটা থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়েছিল গত দু’বছর। সেটা কাটিয়ে ইংরেজি নতুন বছরের শুরু থেকেই সূচনা পুজো প্রস্তুতির।

একডালিয়া এভারগ্রিনও পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। প্যান্ডেল, লাইটের বরাত দেওয়া হয়ে গিয়েছে। প্যান্ডেলের নকশা-কারুকার্য নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রতিমা তৈরির বিষয়ে শিল্পী সনাতন রুদ্র পালের সঙ্গে কথা হয়েছে। উল্টো রথের দিন প্রতিমা বায়না করা হবে বলে জানান, কোষাধ্যক্ষ স্বপন মহাপাত্র। টালা পার্ক প্রত্যয় পুজোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। বাজারে চলে এসেছে টিজার। বেজেছে ঢাক বাজিয়ে সেটির আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছে। টিজারের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তৈরি হচ্ছে পুজোর থিম। এই তথ্য দিলেন ক্লাব সম্পাদক শান্তনু ঘোষ। ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের পক্ষ থেকে সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, জনজীবন এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। ফলে এবছর দুর্গাপুজোকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা রয়েছে। তাতে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি। সবে তো শুরু হল। পয়লা বৈশাখের পর থেকে পুজোর উন্মাদনা আরও বেড়ে যাবে।

ইতিমধ্যেই বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। করোনার কবল থেকে ধীরে ধীরে মুক্ত হচ্ছে জনজীবন। ছন্দে ফিরছে মানুষ। সেই ছন্দে তাল মেলাতে বছরের প্রথম লগ্ন থেকেই পুজো প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন অনেক উদ্যোক্তা। সবার উৎসাহ দেখে মনে হচ্ছে এবার পুজো আরও চমকদার হতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, পুজোর ঠিক এক মাস আগে পয়লা সেপ্টেম্বর শহরে শোভাযাত্রা হবে। রেড রোডে হবে পুজো কার্নিভাল। ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকাতেও স্বীকৃতি বাংলার দুর্গাপুজোর। সবমিলিয়ে হই হই রই রই ব্যাপার। পুজো উদ্যোক্তারা ফলে একটু বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছেন। দেখে মনে হচ্ছে ইংরেজি বছরের গোড়াতেই শরতের মেঘের প্রতীক্ষায় চাতক বাঙালির যেন তর সইছে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen