রাজ্যে কন্টেইনমেন্ট জোন বেড়ে ২৪৫৫
লকডাউন শিথিল। কিন্তু সংক্রমণে লাগাম টানা যাচ্ছে না। রাজ্যে ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। স্বাভাবিকভাবে বাড়ছে কন্টেইনমেন্ট জোনও। গত সপ্তাহে গোটা রাজ্যে মোট ১ হাজার ৮০৬টি সংক্রামক এলাকা ছিল। সাতদিন যেতে না যেতেই সেই সংখ্যা বাড়ল প্রায় ৬৫০। যার অধিকাংশই শহর কলকাতায়। সরকারি হিসেবে, বৃহস্পতিবার রাজ্যে কন্টেইনমেন্ট এলাকা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৪৫৫টি। কলকাতায় সংখ্যাটা অত্যধিক হারে বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার শহরে ১ হাজার ৯টি কন্টেইনমেন্ট জোন ছিল। এদিন তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪৫৭। কলকাতার মতোই অস্বাভাবিক হারে সংক্রামক এলাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বাঁকুড়া জেলাতেও।
গত সপ্তাহে সেখানকার ৮৮টি জায়গা কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় ছিল। আজ সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪০। হাওড়ায় এমন এলাকার সংখ্যা ৭৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ১২১। রোগীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোচবিহারেরও বেড়েছে কন্টেইনমেন্ট জোন। সেখানে সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৩১। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এমন এলাকা এখন ৯৮টি। পরিযায়ী শ্রমিকরা আসার কারণেই জেলায় জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে বারবার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কনটেন্টমেন্ট জোনের সংখ্যাও বাড়াতে হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রে দাবি।
গতকালও চেন্নাই থেকে করোনা পজিটিভ যাত্রীদের বিমানে কলকাতা আনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মমতা। এদিন কলকাতায় সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সেই একই দাবি করেছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে আসা বিমান, ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের এরাজ্যে নিয়ে আসার পরেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া উম-পুনের পর বিভিন্ন জেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। তবে রোগের থেকেও কলকাতায় বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল, ‘করোনা ভয়’। রাজ্যবাসীকে অযথা আতঙ্কিত হতে বারণ করেছেন তিনি। সকলকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বার্তাও দিয়েছেন।