তারের জঞ্জাল সাফে ঢিমেতাল, লক্ষ্যমাত্রা বাঁধতে চলেছে পুরসভা
শহরে কেবল তারের পরিমাপ কত? কলকাতা পুরসভার আলোক বিভাগ সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে এই তারের দৈর্ঘ্য প্রায় চার হাজার কিমি হবে। অবশ্য এর মধ্যে চালু লাইন যেমন রয়েছে, তেমনই অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকা কেবলও রয়েছে। এই তারের জঙ্গল সরানোর যে উদ্যোগ পুরসভা নিয়েছে, সেই মতো কাজ চললেও, তবে তা ঢিমেতালে। জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাসে সাফ হয়েছে ১০০ কিমি অকেজো কেবল।
সেই ঢিলেমি কাটিয়ে শহরকে তারের জঙ্গল থেকে মুক্ত করতে এবার সময়সীমা বেঁধে দিতে চাইছে পুর কর্তৃপক্ষ। সপ্তাহে অন্তত ৫০ কিমি কেবল সাফ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হবে। সেকারণে কেবল সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে আগামী মঙ্গলবার ফের বৈঠকে বসতে চলেছে পুরসভা।
এই নিয়ে তাদের সঙ্গে বহুবার বৈঠক করেছে পুরসভা। ঠিক হয়েছিল, অকেজো কেবলগুলি সরিয়ে দেওয়া হবে। সেই মতো অভিযানও শুরু হয়। কিন্তু সেই কাজ এগচ্ছে ধীরগতিতে, এমনটাই অভিযোগ কর্তৃপক্ষের। দু’সপ্তাহে গড়ে মাত্র ৫০ কিমি তার কাটা হয়েছে। বিভাগীয় মেয়র পারিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সি বলেন, আরও দ্রুত কাজ করতে হবে। যে গতিতে কাজ চলছে, এভাবে চলতে থাকলে বহু বছর লেগে যাবে।
যদিও এই কাজে যথেষ্ট ঝক্কি রয়েছে। এই কাজ করতে কতটা সময় লাগবে, তা নিয়ে সন্দিহান খোদ পুর আধিকারিকরাই। এক কর্তা বলেন, এই কাজ যত সহজ ভাবা হয়েছিল, ততটা নয়। প্রথমে মার্কিং করা হচ্ছে। তারপর চলছে ড্রেসিং। সব শেষে অকেজো কেবলগুলিকে কাটা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চেতলা, বেলেঘাটার ক্যানেল ওয়েস্ট রোড, এজেসি বোস রোড, ক্যামাক স্ট্রিট, এপিসি রোড, সিআর অ্যাভিনিউয়ে এই কাজ হয়েছে। শহরকে আপাতত উত্তর এবং দক্ষিণে ভাগ করে এই কাজ চলছে। দু’টি বেসরকারি মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থা এই অভিযান চালাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের অভিমত, শহরকে সুন্দর করে সাজাতে চায় সরকার। তাই রাস্তার পাশে ঝুলে থাকা তারের জঞ্জাল সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
বেশ কয়েক বছর ধরেই মাটির নীচে দিয়ে কেবল নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। কিন্তু তা দিনের আলো দেখেনি। ইতিমধ্যেই হরিশ মুখার্জি রোড, আলিপুর ডিএল খান রোড ও জাজেস কোর্ট রোডের দু’ধারে ২.৬ কিলোমিটার পর্যন্ত কেবলের তার মাটির নীচে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগামী দিনে মাটির নীচে দিয়ে, নাকি অন্য কোনও পদ্ধতিতে কেবল নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে পুরসভা।