রাজস্থানে চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় নয়া মোড়, গ্রেপ্তার বিজেপি কর্মী
রাজস্থানের (Rajasthan) দৌসায় অন্তঃসত্ত্বার পরিবারের হাতে নিগৃহীত ডাক্তারের আত্মহত্যার ঘটনায় নতুন মোড়। জনতাকে অযথা উত্তেজিত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন স্থানীয় এক বিজেপি কর্মী। ওই অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুতে দায়ী করা হয় অর্চনা শর্মা নামে ওই ডাক্তারকে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, তাঁর স্বামী থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। স্থানীয় এক বিজেপি কর্মী তাঁকে একটি কাগজে সই করিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। মৃত ডাক্তারের (Doctor) স্বামী সুনীত উপাধ্যায় আঙুল তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দিকে।
রাজস্থানের এই ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে সারা দেশে। অন্তঃসত্ত্বার স্বামী লালুরাম বাইরোয়া দাবি করেছেন, “আমি কোনও অভিযোগ দায়ের করিনি।” যদিও তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল এবং সেই হেনস্থার কারণেই অর্চনা আত্মহত্যা (Suicide) করেন বলে জানা গিয়েছে। লালুরাম জানিয়েছেন, “আমি একজন মজুর। পড়াশোনা সেরকম জানি না। আমি অল্পস্বল্প পড়তে পারি। কিন্তু একদমই লিখতে পারি না।” তাহলে এফআইআর করল কে? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ”সেই সময় আমার মাথার ঠিক ছিল না। কেউ একজন বলল একটা সাদা কাগজে সই করতে। আমার মনে নেই কে বলেছিল।”
জানা গিয়েছে, লালুরামের হাতে তাঁর সদ্যোজাত শিশুকে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে স্ত্রী আশার মৃতদেহও হস্তান্তর করা হয় তাঁকে। এরপরই বাড়ি ফিরে যায় তাঁদের পরিবার পরিজন। অভিযোগ, পরে হাসপাতালে ফিরে আসেন তাঁরা। সেই সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন স্থানীয় বিজেপি নেতা। তারাঁ আসার পরেই হাসপাতাল চত্ত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সকলে। আশার মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ তুঙ্গে ওঠে। সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হবে, এমন আশ্বাস দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। এরপরই অর্চনা শর্মা (Archana Sharma) এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
মৃত ডাক্তারের স্বামী সুনীত উপাধ্যায় দাবি করেছেন, ওই অন্তঃসত্ত্বার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। একটি ভিডিও করে তিনি জানিয়েছেন, “গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে আমাদের হাসপাতালে আশান্তি করছে একজন বিজেপি নেতা। পুলিশকে জানালেও তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি।” যদিও এই অভিযোগের ভিত্তিতে আরেকটি এফআইআর দায়ের হয়েছে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।