সমুদ্র সৈকতে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ! মন্দারমণির ৫০টি হোটেল বন্ধের নির্দেশ

সংশ্লিষ্ট মন্দারমণি কোস্টাল থানাকে আগামী সাতদিনের মধ্যে ওই হোটেলগুলির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

April 1, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

সৈকতে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে পর্যটন কেন্দ্র মন্দারমণিতে ৫০টি হোটেল বন্ধের নির্দেশ দিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। হোটেলের ব্যবহৃত জল পরিশোধন না করে সৈকতে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ সহ একাধিক অভিযোগ এনে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগেই এই নির্দেশিকার নোটিস স্থানীয় ও জেলা পুলিস-প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্দারমণি কোস্টাল থানাকে আগামী সাতদিনের মধ্যে ওই হোটেলগুলির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশের কথা জানাজানি হওয়ায় মন্দারমণির হোটেলমালিক তথা হোটেল ব্যবসায়ীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

দীর্ঘ দু’বছরের করোনা-পরিস্থিতি কাটিয়ে অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল মন্দারমণিও। লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছিলেন হোটেল-লজ মালিকরা। এরই মাঝে এই হোটেল বন্ধের নির্দেশের জেরে তাঁদের ব্যবসায় ভাটা আসতে চলেছে। তাছাড়া গত দু’দশক ধরে বিভিন্ন সময়ে মন্দারমণিতে কখনও নিয়মকানুন ভেঙে হোটেল নির্মাণ কিংবা পর্যটনের নামে পরিবেশ ধ্বংসের নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। আর এই হোটেল বন্ধের নির্দেশ নবতম সংযোজন।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দারমণিতে একশোর কাছাকাছি হোটেল-লজ রয়েছে। দৈনিক ব্যবহৃত জল পরিশোধনের জন্য হোটেলগুলিতে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বাধ্যতামূলক। যার কোনও ব্যবস্থাই ছিল না এই ৫০টি হোটেলে। ওই হোটেলগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, হোটেলের ব্যবহৃত জল পরিশোধিত না হয়ে সরাসরি সমুদ্রে এসে পড়ছে। এর ফলেই সৈকতে দূষণ ছড়াচ্ছে। দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মহল থেকে পাওয়ার পর গত বছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে সামগ্রিক পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা। পাশাপাশি দূষণ-বিষয়ক আরও বেশ কয়েকটি দিক খতিয়ে দেখা হয়। তারপর ডিসেম্বর মাসে ওই হোটেলগুলিকে শো-কজ নোটিস দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে তার উত্তর দেয়নি হোটেলগুলি। সেই এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

কাঁথি মহকুমা পুলিস আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, এখনও এব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও চিঠি আসেনি। মন্দারমণি বিচ হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবদুলাল দাস মহাপাত্র বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যাতে বিষয়টি দেখা হয়, সেব্যাপারে সংগঠনের তরফে আমরা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাব। আমরা আশাবাদী, সরকার আমাদের আবেদন বিবেচনা করবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen