ভারতকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল বিক্রির প্রস্তাব রাশিয়ার!
ইউক্রেন যুদ্ধের আগে অপরিশোধিত তেলের (Crude oil) যা দাম ছিল, তার চেয়েও কম হারে ভারতকে তেল বেচতে আগ্রহী রাশিয়া (Russia)। আসলে পশ্চিমি দেশগুলির জারি করা নিষেধাজ্ঞার মোকাবিলাতেই এই পদক্ষেপ মস্কোর। এদিকে আমেরিকা ভারতকে সতর্ক করেছে রাশিয়া ইস্যুতে।
প্রশ্ন উঠছে, নয়াদিল্লিকে কতটা ছাড় অফার করছে রাশিয়া? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি ব্যারেলে ৩৫ ডলার পর্যন্ত ছাড়ের অফার দিচ্ছে মস্কো। এর ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে যা বাজারদর তার চেয়েও কম দরে অপরিশোধিত তেল পাবে ভারত! এর ফলে দেশে তেলের দামকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, ভারত তাদের প্রয়োজনীয় তেলের ৮০ শতাংশই আমদানি করে। তবে রাশিয়ার থেকে স্বল্প পরিমাণ তেলই কেনে ভারত।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাশিয়ার থেকে ভারতের তেল কেনার বিষয়টি ভালভাবে নিচ্ছে না পশ্চিমী দেশগুলি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ভারতে এসেছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী। একই সময়ে দেশে রয়েছেন ব্রিটেনের বিদেশ সচিব এলিজাবেথ ট্রাস। তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়েছেন, ”যখন তেলের দাম লাফিয়ে বাড়ছে, তখন এটাই তো স্বাভাবিক যে, নিজেদের দেশবাসীর জন্য ভাল অফার পেলে সেদিকেই এগোবে ভারত।”
কেবল ছাড় দেওয়াই নয়। সেই সঙ্গে রাশিয়া ভারতকে অফার দিয়েছে প্রাথমিক ভাবে ১.৫ কোটি ব্যারেল তেল কেনার জন্য। উল্লেখ্য, এবছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ভারত থেকে কোনও তেল কেনেনি। কিন্তু মার্চ ও এপ্রিলের হিসেব ইতিমধ্যেই ছুঁয়ে ফেলেছে ৬০ লক্ষ ব্যারেল।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ সেনা হামলা করে ইউক্রেনে। এরপর থেকেই গোটা বিশ্বে উদ্বেগ বেড়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ঘিরে। আমেরিকা ও ন্যাটোর দেশগুলি কাঠগড়ায় তুলেছে পুতিনকে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘে ভোটাভুটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ভারত। কৌশলগত ভাবে কার্যত ভারসাম্যই রক্ষা করতে ভোট দেয়নি তারা। মনে করা হচ্ছে, এইভাবে পরোক্ষে ‘বন্ধু’র কাঁধেই হাত রাখার বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতেই এবার সস্তায় ভারতকে তেল দিতে আগ্রহী মস্কো।