বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে শীতঘুম থেকে বেরোতে চায় না কংগ্রেস, ‘জাগো বাংলা’য় আক্রমণ তৃণমূলের
দেশ জুড়ে কংগ্রেসের ব্যর্থতাই বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছে।
এই দল তার শীতঘুম থেকে বেরোচ্ছে না। শুক্রবার কংগ্রেসকে আক্রমণ করে এই অভিযোগ করল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রাক্তন সাংসদ এবং রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের গলায় শোনা গেল এই অভিযোগের সুর। উদাহরণ দিয়ে কুণাল বলেন, ‘কংগ্রেসের এই ব্যর্থতার সুযোগ বিজেপি নিয়েছে ২০১৪ এবং ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে। আর শুধু লোকসভা নির্বাচন নয়, বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনেও বিজেপি কংগ্রেসের এই ব্যর্থতার সুযোগ নিয়েছে। কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও সদিচ্ছা নেই।’
এর আগেও তৃণমূল একাধিকবার কংগ্রেসের সমালোচনায় মুখর হয়েছে। দলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় কংগ্রেসকে ‘পচা ডোবা’ বলেও কটাক্ষ করেছে তারা। এদিন কুণাল বলেন, ‘বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে কংগ্রেস বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’ তাঁর কথায়, ‘যে সব রাজ্যে বিজেপি বিরোধিতা চলছে কংগ্রেস তার ঔদ্ধত্য দেখিয়ে পরোক্ষভাবে বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে।’
দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী জোট এবং সেখানে কংগ্রেসকে সামিল করার প্রশ্নে তৃণমূলের অবস্থানের ব্যখ্যায় কুণালের দাবি, ‘আমরা কোনওদিন বলিনি কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কোনও জোট হোক। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি কংগ্রেসকে তাঁর বক্তব্য জানাতে গিয়ে বলেছেন, বিকল্প জোটের একটা চেহারা থাকুক। তার একটা স্টিয়ারিং কমিটি, নিয়মনীতি এবং যৌথ কর্মসূচি রাখা উচিত।’ কংগ্রেস যে এই বিষয়ে সক্রিয় নয় সেই বিষয়ে কুণালের অভিযোগ, ‘কংগ্রেস তার শীতঘুম থেকেই বেরচ্ছে না।’
কংগ্রেসের এই ‘গয়ংগচ্ছ’ ভাব এবং দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তৃণমূলের ভাবনাচিন্তা প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন অন্যান্য যে বিজেপি বিরোধী দলগুলি আছে সেগুলিকে একজোট হয়ে একমঞ্চে আসতে হবে। দেখা যাচ্ছে তাঁর এই চিন্তা অন্য বিজেপি বিরোধী দলগুলির মধ্যেও প্রতিফলিত হচ্ছে।’
রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, ‘তৃণমূলের মুখে বিজেপির এই মেকি বিরোধিতা শোভা পায় না। তাঁরা যদি ১০ মিনিট বক্তব্য রাখেন তবে আট মিনিট কংগ্রেস বিরোধিতা করেন আর দু’মিনিট অন্য কথা বলেন। রাজ্যে রাজ্যে গিয়ে ভোট ভাগাভাগি করে তারা বিজেপির সুবিধাই করে দিচ্ছে। কংগ্রেস কিন্তু নিজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেই চলেছে।’