মিরিক লেকেও ভাসতে চলেছে শিকারা, পর্যটনকে চাঙ্গা করতে নয়া উদ্যোগ রাজ্যের
লেকের টলটলে জলে আকাশের প্রতিচ্ছবি। জলে হাত ডুবিয়ে এক খাবলা মেঘ তুলে আনা যেন কোনও বিষয়ই নয়। মিরিক মানেই এক স্বপ্ন মাখা দুনিয়া। দার্জিলিংয়ের সেই মিরিকের নীলচে জলে এবার রং-বেরঙের শিকারা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ছোট্ট জনপদটিকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে বাড়তি উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হল শিকারা। কাশ্মীরের ডাল লেকের মতো মিরিক লেকেও শিকারা চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময় মিরিক পরিদর্শনে যান রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেন। সেখানকার উন্নয়নের কাজ দেখে খুশি তাঁরা। মিরিক পুরসভা এখন তৃণমূলের দখলে। লেক এবং সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে সৌন্দর্যায়নের কাজ প্রায় শেষ। পর্যটকদের কাছে মিরিককে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পর্যটন সহ সরকারের একাধিক দপ্তর ও মিরিক পুরসভা একযোগে প্রকল্প রূপায়নের কাজ করছে। এই মুহূর্তে মিরিকের উন্নয়নের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। ৩০টির মতো ছোট-বড় প্রকল্পের পরিকল্পনা রূপায়ন করা হবে। যার অন্যতম হল মিরিক লেকে শিকারা ভ্রমণ।
পশ্চিমবঙ্গ শুধু নয়, দেশ-বিদেশের পর্যটকরাও এখন বেড়াতে আসেন মিরিকে। সব পর্যটকদের জন্য মিরিক লেকে নিজের হাতে মাছ ধরার ব্যবস্থা চালু করার ভাবনা রয়েছে প্রশাসনের। শুধু তাই নয়, নিজের শিকার করা মাছ লেকের ধারে বসে গ্রিল করে খেতে পারবেন পর্যটকরা। সেই ব্যবস্থাও চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক মানের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো শুরু করারও চিন্তাভাবনা রয়েছে রাজ্যের। এছাড়া মিরিকে স্থায়ী অর্কিড প্রদর্শনশালা ও বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।