আন্তর্জাতিক বিভাগে ফিরে যান

কোথায় অবস্থিত লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল? 

June 20, 2020 | 2 min read

ইন্দো-চীনা সীমান্তে উত্তেজনা প্রায় ৪৫ দিন পরেও অব্যাহত। একদিকে যেমন লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে চীন সমারাস্ত্র মজুত করছে। তেমন ভাবেই ভারতও লাদাখ সিকিম সহ ইন্দো-চীন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বাড়তি সেনা মোতায়েন করছে। ফলে উত্তেজনা কয়েকগুন বেড়েছে এলএসি-তে।

৩৪৮৮ কিলোমিটার লম্বা সীমান্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা আদতে ভারত চীনা সীমান্তের চিহ্নিতকারী অক্ষরেখা। ৩৪৮৮ কিলোমিটার এই লম্বা সীমান্তরেখা তিনটি সেক্টরে বিভাজিত। চীনা অবশ্য এই রেখাকে ২০০০ কিলোমিটার লম্বা মানে। এই এলএসি-র তিনটি সেক্টরের পূর্ব ভাগ হল অরুণাচলপ্রদেশ থেকে সিকিম পর্যন্ত। মধ্য ভাগ হল উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশ। এবং পশ্চিম ভাগ হল লাদাখ।

লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল

এলএসি মূলত ১৯১৪ সালের ম্যাকমোহন লাইনকে অনুসরণ করে। এর জেরে পূর্বে অরুণাচল প্রদেশের কয়েকটি এলাকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এদিকে চীন অরুণাচলকে নিজেদের দেশের অংশ বলে দাবী করে। তাদের ভাষায় অরুণাচল হল দক্ষিণ তিব্বত। লংজু ও আসাফিলা এলাকাতেও কয়েকটি জায়গা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মতান্তর রয়েছে।

১৯৬২ সালে এলএসি বিবাদে প্রথম যুদ্ধ অঞ্চলভিত্তিক অধিকারের জটিলতার জেরে উভয় দেশই ১৯৬২ সালের অক্টোবর মাসে অল্প সময়ের জন্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তাতে তাদের সমস্যার কোনও নিষ্পত্তি হয়নি এবং এর অন্তত সাত দশক পরও সম্পর্কে সেই অস্বস্তি চলছে। সমস্যার সূত্রপাত ১৯৫৯ সালে। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে একটি চিঠি লিখে এলএসি নিয়ে তাঁদের ঐতিহ্য অনুযায়ী সীমান্তের কথা বলেন চীনা প্রধানমন্ত্রী ঝু এনলাই। যদিও ভারত তা অস্বীকার করে।

১৯৯১ সালে চীনে প্রিমিয়ার লি পেং যখন ভারত সফরে আসেন, তখন পিভি নরসিংহ রাও এলএসি-র এই মত মেনে নেন। পরে ১৯৯৩ সালে বেজিংয়ে গিয়ে এই সংক্রান্ত চুক্তিপত্রে সই করেছিলেন পিভি নরসিমহা রাও। তবে ভারতের পক্ষ থেকে কোনও দিনও এলএসি-র মানচিত্র অদলবদল করা হয়নি। এরপর ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন এই সংক্রান্ত বিবাদ মেটানোর প্রস্তাব করেন, তখন তা প্রত্যাখ্যান করেছিল বেজিং।

সম্প্রতি বিবাদের কারণ গত বছর ২৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবরুক-শিয়ক-ডিবিও রোড তৈরী করেছিল ভারত। তা নিয়েই চীনের মূল আপত্তি৷ চীনের দাবী ছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে ভারতের দিকে পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ বন্ধ রাখা হোক৷ যা মেনে নিতে নারাজ ভারত৷

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে দুই দেশের তরফেই স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে এলএসি এলাকায় সেনার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#India, #china, #Line of Actual Control

আরো দেখুন