ফুরোচ্ছে মেয়াদ, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ হারাতে চলেছেন মহম্মদ আলি?
ফুরচ্ছে মেয়াদ। বিতর্কের মাঝেই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) উপাচার্যের পদ থেকে সরছেন মহম্মদ আলি। ১৩ এপ্রিল ফিরে যাচ্ছেন যাদবপুরে অধ্যাপনার কাজে।
২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল যাদবপুর থেকে লিয়েনে আলিয়ার উপাচার্য পদে যোগ দিয়েছিলেন মহম্মদ আলি। নিয়ম অনুযায়ী চলতি মাসের ১৩ তারিখ তাঁর উপাচার্য পদে শেষদিন। এরই মাঝে শুক্রবার উপাচার্যকে নিগ্রহের ঘটনা ঘটে। মূল অভিযুক্ত গিয়াসুদ্দিন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ ছ’টি ধারা দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬,৩০৭, ৩৮৬, ৩৫৩,৫০৬ ও ৩৪ ধারায় রুজু হয়েছে মামলা। সোমবার তাঁকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে আদালত। বিতর্কের পর সোমবারই উপাচার্য পদ থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন মহম্মদ আলি। মঙ্গলবার আরও একবার তা জানালেন।
এদিকে আলিয়া কাণ্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। পার্কসার্কাস এবং নিউটাউন দু’টি ক্যাম্পাসে এই দাবিতে এদিন বিক্ষোভ দেখান সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। নবান্ন এ বিষয়ে উপাচার্য মহম্মদ আলির কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে। আলি জানিয়েছেন, তিনি আগের মত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার কাজে ফিরে যাবেন। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের অধীনস্থ। দপ্তরের তরফে এদিন উপাচার্যর কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়। বুধবার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসবেন দপ্তরের কর্তারা।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার উপাচার্যকে নির্যাতনে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে হবে। টেকেনাসিটি থানায় এনিয়ে স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, জিম নওয়াজ নামে এক বহিরাগত উপাচার্যকে আক্রমণের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে।