গত দু’বছরে বিক্ষিপ্ত লকডাউনে ঘর ভাড়া দিয়ে এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা আয় বনদপ্তরের
কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে জনজীবন। তবে গত দু’বছরে বিক্ষিপ্ত লকডাউনেও রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রগুলিতে ঘর ভাড়া দিয়ে এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা আয় করেছে বনদপ্তর। শুধু ঘর ভাড়া দেওয়াই নয়, বনদপ্তরের গোরুমারা ওয়াইল্ডলাইফ ডিভিশনের অধীনে থাকা বিভিন্ন জঙ্গল সাফারি থেকেও লক্ষ্মীলাভ হয়েছে দপ্তরের। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই বাংলার পর্যটন শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এমনটাই মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের মোট ১৩টি ডিভিশনে প্রায় ৩০টি ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কটেজ ও হোটেল বুকিংয়ের অনলাইন পরিষেবা চালু রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ‘ট্রি হাউস’। তার অধিকাংশই উত্তরবঙ্গের গোরুমারা ওয়াইল্ডলাইফের অধীনে।
গত এক বছরে নদীয়া-মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের অধীনে থাকা বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে দু’টি অতিথি নিবাস বিভিন্ন সময় অনলাইনে বুকিং করেছিলেন পর্যটকরা। তাতেও দপ্তরের কোষাগারে মোটা অঙ্কের টাকা জমা পড়েছে। এছাড়া বনদপ্তরের বাঁকুড়া (উত্তর) ডিভিশনের অধীনে থাকা শুশুনিয়া ও বিহারীনাথ ইকোট্যুরিজম সেন্টার অনলাইন বুকিং দিয়ে প্রায় তিন লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। তবে ওই সময়ে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে জলদাপাড়ার মাদারিহাট ‘কার সাফারি’ থেকে। আয়ের পরিমাণ ২০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৮০ টাকা।
কৃষ্ণনগরের রেঞ্জ অফিসার দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের রুম বুকিং প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ অনলাইন হয়। পর্যটকরা কবে, কোথায় বুকিং নেবেন, তার জন্য কত ভাড়া গুণতে হবে, প্রভৃতি বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে। রানাঘাটের ট্যুর অপারেটর বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের পর্যটন শিল্প ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেয়েছিল। তবে বিগত দু’বছরে লকডাউন থাকা সত্ত্বেও মাঝেমধ্যেই বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল হয়েছিল। সেই সময় ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি রাজ্যের শৈল শহর দার্জিলিং কিংবা সমুদ্র সৈকত দীঘা, মন্দারমণিতে পা রেখেছিলেন। এখন কোভিডের কোনও বাধা নেই। তাই হাওয়া বদলের জন্য অনেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অফবিট ডেস্টিনেশনের বুকিং নিচ্ছেন। নতুন করে আবারও পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের জোয়ার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে পশ্চিমের রাজ্যগুলির তুলনায় দার্জিলিং, মিরিক, কালিম্পং, ডুয়ার্স, জলদাপাড়া মতো উত্তরবঙ্গের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকরা বেশি যাচ্ছেন।