তলানিতে নিরাপত্তা, বিহারে রাতারাতি গায়েব হয়ে গেলল আস্ত লোহার সেতু!
রাতারাতি গায়েব হয়ে গেল আস্ত একটি লোহার সেতু। বিহারের রোহতস জেলার বিক্রমগঞ্জের ঘটনা। সেচ দপ্তরের অফিসার পরিচয় দিয়ে একাধিক ব্যক্তি ৫০০ টন ওজনের ৬০ ফুট লম্বা ওই পরিত্যক্ত সেতুটি ভেঙে ফেলে। জেসিবি মেশিন এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে ভরদুপুরে সেতুটি ভাঙার কাজ সারা হয়। তারপর সেই সেতুর সমস্ত লোহার টুকরো ট্রেনে চাপিয়ে চলে যায় ওই ব্যক্তিরা। এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বিহারে নিরাপত্তার কী হাল। বিনা বাধায় নির্বিচারে এই সেতু চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে জেলায়।
১৯৭২ সালে বিক্রমগঞ্জে আড়া ক্যানালের উপর তৈরি করা হয়েছিল ওই সেতু। সেটি এখন কেউ ব্যবহার করত না। বছর পাঁচেক আগে কাছেই একটি বিকল্প সেতু হওয়ায় এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। স্থানীয় সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে সেচ দপ্তরের অফিসারের পরিচয় দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি আসে তাদের সঙ্গে ছিল জেসিবি মেশিন, গ্যাস কাটার, পিকআপ ভ্যান এবং আরও কিছু গাড়ি। তিনদিন ধরে তারা ওই লোহার সেতু ভাঙাভাঙির কাজ করে। তারপর ভাঙা সেতুর সমস্ত টুকরো নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
অভিযোগ উঠেছে, তারপর থেকে স্থানীয় থানা কোনও খোঁজখবর করতে আসেনি। দেখা মেলেনি সেচ দপ্তরের কোনও পদস্থ কর্তারও। স্থানীয় কেউ কেউ জানান, ওই চোরেরা এলাকার কিছু লোকজনের এই অপকর্মটি সারে। অনেক পরে বোঝা যায়, ঘটনাটি সেচ দপ্তরের নয়, নিতান্তই চোরেদের কাজ। তারপর নড়েচড়ে বসে সেট দপ্তর। স্থানীয় থানায় তারা চুরির অভিযোগ দায়ের করেছে।