বিকেলেই উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত, পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের
গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। তাপমাত্রার পারদ যখন ঊর্ধ্বমুখী, সেই সময় সুখবর দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। রাজ্যের পাঁচ জেলায় এক থেকে দু’ঘণ্টার মধ্যে ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি। বইবে ঝোড়ো হাওয়াও।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। তবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনাা নেই। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি জেলাতে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। এছাড়াও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঝেঁপে বৃষ্টি নামতে চলেছে উত্তর দিনাজপুরে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বইতে পারে ঝড়।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বিগত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টিপাত চলছে। ভিজছে একাধিক জেলা। কিন্তু, দক্ষিণবঙ্গের মানুষদের গরমে রীতিমতো অস্বস্তি বাড়ছে। গত বছর সময়ে অসময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে বঙ্গে। কিন্তু, এই ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে রেহাই দিতে এখনই দক্ষিণবঙ্গে স্বস্তির বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, কালবৈশাখীর কি দেখা পাওয়া যাবে? এই নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। বিকেলে ক্ষনিকের ঝড়-বৃষ্টির মধ্য দিয়ে স্বস্তি খুঁজছেন অনেকেই। কিন্তু, এই বিষয়েও বিশেষ আশার আলো দেখাতে পাচ্ছে না আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
উল্লেখ্য, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আজ তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। কিন্তু, বেশিরভাগ জেলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আগামী দু’দিনে বিশেষ হাওয়া বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। এদিকে এদিন কলকাতাতে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি বাড়বে না তাপমাত্রার পারদ। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কলকাতায় আবহাওয়ার বিশেষ বদল নেই বলেই জানা যাচ্ছে।
রাজস্থানের পশ্চিমে তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করা হয়েছে মৌসম ভবনের তরফে। এছাড়াও তাপপ্রবাহ চলবে রাজস্থান, হরিয়ানাতেও, জানা গিয়েছে এমনটাই। এই বছর রেকর্ড গরম প্রত্যক্ষ করতে চলেছে রাজ্যবাসী, এমনটাই দাবি করেছেন সুজীব কর। তাঁর কথায়, “ ১৫ মার্চ থেকে ১৫ মে এই সময়ে এর মধ্যে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমপ্রান্তের জেলাগুলোর তাপমাত্রা ৪৫-৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে।”
এখানেই শেষ নয়, তিনি দাবি করেছেন, “বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব জলভাগ এবং স্থলভাগের উপর সমানভাবে পড়েছে। বঙ্গোপসাগরে জলের তাপমাত্রা যা থাকার কথা তার থেকে প্রায় চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এর ফলে প্রচুর পরিমাণ জলীয়বাষ্প তৈরি হচ্ছে। ফলে প্রতি মুহূর্তে বায়ুমণ্ডলের যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প নেওয়ার ক্ষমতা তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণ জলীয় বাষ্প তৈরি হচ্ছে , যা বঙ্গোপসাগরের উপর বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের যে চাপ তা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও সাগর বা মহাসাগরে যদি এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। এখন বঙ্গোপসাগরে একাধিক শক্তিশালী সাইক্লোন তৈরি হতে পারে।”