জল্পনার অবসান, পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন শাহবাজ শরিফ
পাকিস্তানের (Pakistan) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। সাংসদ পদ থেকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (PTI) সমস্ত সদস্যকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন ইমরান খান। ফলে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভোটাভুটির প্রয়োজন পড়ল না। সূত্রের খবর, সোমবার রাত ন’টায় শপথ নিতে পারেন শাহবাজ।
এদিন দুপুরে পাক সংসদে অধিবেশন শুরু হয়। তার আগেই দলীয় সাংসদদের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন ইমরান খান (Imran Khan)। পদ ছাড়েন ইমরানও। বলেন, দাগী সাংসদদের সঙ্গে বসবেন না। ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহ মদম্মদ কুরেশির নাম মনোনীত করলেও, ভোটাভুটি থেকে দূরেই থাকল পিটিআই। ফলে কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন শাহবাজ শরিফ।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে পাকিস্তানে প্রচারের বেশিরভাগ আলো কেড়ে নিচ্ছেন যে ব্যক্তি, তিনি শাহবাজ শরিফ। শনিবার মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত ইমরান খান (Imran Khan) আস্থাভোটে হেরে ক্ষমতা হারানোর পরই নতুন প্রধানমন্ত্রীর দিকে ঘুরে গিয়েছে যাবতীয় প্রচারের আলো। তিনি আর কেউ নন, সদ্য প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। সম্পর্কে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। শাহবাজ তাঁর দাদার মতোই পাকিস্তানের রাজনীতিতে পোড় খাওয়া ব্যক্তিত্ব। গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদ সামলেছেন।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। ছিলেন পাঞ্জাবের সবচেয়ে বেশি সময়ের মুখ্যমন্ত্রী। পর্যায়ক্রমে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হন। ক্ষমতাচ্যুত দাদা দেশ ছাড়তে বাধ্য হলে পাক রাজনীতিতে শাহবাজের গুরুত্ব হু হু করে বেড়ে যায়। কারণ এরপর তিনিই পাকিস্তানের অন্যতম বিরোধী দলের সর্বোচ্চ নেতা হয়ে ওঠেন। মুসলিম লিগের প্রেসিডেন্ট পদে অভিষিক্ত হন। এবার পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পদে বসলেন তিনি। ভাই ক্ষমতার শীর্ষে বসতেই দাদা নওয়াজ শরিফে পাকিস্তানে ফেরার পথ প্রস্তত হয়ে গেল। দলেরই একা শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ইদ মিটলেই পাকিস্তানে ফিরছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।