লক্ষ্য পর্যটন: ডোকরা-টেরাকোটার গ্রামকে সাজিয়ে তুলছে বাঁকুড়া জেলা পরিষদ
পর্যটকের টানতে এক কোটি টাকা ব্যয়ে ডোকরা ও টেরাকোটার গ্রামকে সাজিয়ে তুলছে বাঁকুড়া জেলা পরিষদ। ইতিমধ্যে ডোকরা শিল্পের জন্য বিখ্যাত বাঁকুড়ার বিকনা গ্রামের সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করেছে জেলা পরিষদ। একইভাবেই টেরাকোটার জন্য খ্যাত তালডাংরার পাঁচমুড়াতেও সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হবে। শিল্পের পাশাপাশি পর্যটন মানচিত্রেও দু’ই গ্রাম এখন আলাদা নজর কাড়ছে। তাই দু’টি গ্রামকেই ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা পরিষদ।
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার স্বপন ঘোষ বলেন, বিকনা ও পাঁচমুড়া গ্রামে সৌন্দর্যায়নের জন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তহবিল থেকে প্রায় এক কোটি টাকা খরচে সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে বিকনায় সেই কাজ শুরু করা হয়েছে। পাঁচমুড়াতেও শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে প্রকল্প ঠিক করা হবে।
বাঁকুড়া বললেই ডোকরা ও টেরাকোটা শিল্পের নাম মাথায় আসে অনেকের। দীর্ঘদিন ধরেই দু’ই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বহু পরিবার। রাজ্যের পাশাপাশি ভিন দেশেও পাড়ি দিয়েছে বাঁকুড়ার এই দু’টি ‘সম্পদ’। আগে প্রথাগতভাবে কিছু শিল্প সামগ্রী তৈরি হলেও এখন তাতে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। ঘর সাজানোর সঙ্গে উপহার দেওয়া সবকিছুতেই এই দু’ই শিল্প সামগ্রীর অবাধ বিচরণ। তাই বিশ্ব বাজারে কদর রয়েছে ডোকরা, টেরাকোটার। বাঁকুড়া শহরের উপকণ্ঠেই বিকনা গ্রাম। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের এই গ্রামে প্রায় ৯০টি পরিবারের বাস। প্রত্যেকটি পরিবারই ডোকরা শিল্পের সঙ্গে জড়িত। সেখানে প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা আসেন। নানা শিল্প সামগ্রী কেনেন। আবার ভাটিশালায় গিয়ে ডোকরা তৈরির কাজও চাক্ষুষ করেন। বিদেশি পর্যটকরাও সেই তালিকায় রয়েছেন। গ্রামের পরিকাঠামো আগে খুবই বেহাল ছিল। ইতিমধ্যে জেলা পরিষদ গ্রামে ঢোকার মুখে তৈরি করছে সুদৃশ্য গেট। বসেছে ন’টি সোলার বিদ্যুতের খুঁটি। এখন আলো জ্বলছে। তাছাড়া পর্যটকদের জন্য পার্কিং জোনও হয়েছে। বসার জন্য কিছু চেয়ার তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে জেলা পরিষদের। ওই গ্রামের ডোকরা শিল্পী গোপন কর্মকার, হরেন্দ্রনাথ রানা বলেন, গ্রামে অনেকগুলি কাজ হয়েছে। ড্রেন ও রাস্তাটি সংস্কার হওয়ার কথা রয়েছে বলে শুনেছি।
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্পীদের পাট্টা দিয়েছেন। পর্যটকদের কাছে গ্রামকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে নানা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পাঁচমুড়ার টেরাকোটা শিল্পী ভুতনাথ কুম্ভকার বলেন, গ্রামে আলো, ভাটি আধুনিকীকরণ সহ একাধিক কাজের জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে।
Bankura Zilla Parishad to decorate dokra-terracotta village