কোভিডের ক্ষতিপূরণ চেয়ে ভুয়ো আবেদন মোদীর গুজরাত, বাম শাসিত কেরলে
কোভিডে মৃত্যুর ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ভুয়ো আবেদনের ঘটনা ঘটছে গুজরাতে। খোদ প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যে এই ঘটনা বিস্ময়ের। যার জেরে অস্বস্তিতে কেন্দ্র। যদিও স্রেফ গুজরাতই নয়। কেরল, মহারাষ্ট্র এবং অন্ধ্রপ্রদেশেও এই ধরনের ভুয়ো দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নজরে এসেছে। রাজ্য সরকারের একশ্রেণির অসাধু অফিসার এবং করোনায় মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ‘বোঝাপড়াতে’ই এ ধরনের অনৈতিক ঘটনা ঘটছে। তাই কড়া হচ্ছে কেন্দ্র।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উচ্চপর্যায়ের টিম পৌঁছে গিয়েছে সংশ্লিষ্ট চার রাজ্যে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলের (এনসিডিসি) শীর্ষ পর্যায়ের অফিসাররা উল্লিখিত চার রাজ্যে গিয়ে ভুয়ো দাবির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। রাজ্যের কাছে যে দাবি আসবে, তার মধ্যে থেকে ৫ শতাংশ স্ক্রুটিনি করবে কেন্দ্র। উল্লেখিত চার রাজ্যেই নয়, প্রয়োজনে দেশের যেকোনও রাজ্যে গিয়েই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের টিম নজরদারি করবে।
ভুয়ো দাবিদারদের কড়া শাস্তির মুখেও পড়তে হবে। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন মোতাবেক এ ধরনের ভুয়ো বা জাল দাবির জন্য আর্থিক জরিমানা তো বটেই, দু’বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাই রাজ্যগুলিকে বাড়তি নজরদারির উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই এ ব্যাপারে উদ্যোগ বাড়িয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এবার থেকে কোভিডে মৃত্যুর জেরে প্রয়াতের পরিবারকে ৯০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে হবে। আগে কোনও সময়সীমা ছিল না। রাজ্য ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট রেসপন্স ফান্ড থেকেই ক্ষতিপূরণের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সঠিক নথি পেশ করে আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ মিলবে। তবে গত ২০ মার্চের আগে যারা কোভিডে মারা গিয়েছেন অথচ তার পরিবার এখনও ক্ষতিপূরণের আবেদন করেনি, তাদের ক্ষেত্রে ৬০ দিনের মধ্যে দাবি করতে হবে। গত ২৪ মার্চ থেকে গোনা হবে ৬০ দিনের সময়সীমা। বিশেষ ক্ষেত্রে কিছু ছাড়েরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছেন, কোনও বিশেষ কারণে যদি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে আবেদন করতে না পারে, তাহলে গ্রিভ্যান্স রিড্রেসাল কমিটির কাছে যেতে হবে। তারা যদি মনে করে, যথার্থ কারণেই আবেদনে বিলম্ব, তবেই মিলবে ক্ষতিপূরণ।