কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গনের উদ্বোধন, ঝালমুড়িতে অতিথি আপ্যায়ন করে তাক লাগালেন মমতা

April 12, 2022 | 2 min read

পরনে সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা, সাদা রঙের গ্লাভস, আকাশি রঙের মাস্ক। গলায় ঝুলছে লাল গামছা। একটি দড়ি বাধা টিনের বাক্সকে গলা থেকে ঝুলিয়ে রাখার ব্যথা থেকে বাঁচতে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই গামছা। বাক্সের মধ্যে খোপ করা রাখা ছোট ছোট কৌটো। কোনও কৌটোর মধ্যে রয়েছে মুড়ি, কোনটায় বাদাম বা চানাচুর অথবা ঝুড়িভাজা। আবার রয়েছে বিট নুন, মশলাপাতি, পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কাকুচি। ফরমায়েশ অনুযায়ী বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে মশলামুড়ি। দুপুর তিনটের পর বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণের সুসজ্জিত অডিটোরিয়ামে বসে এই মশলা মুড়ি উপভোগ করলেন বাংলা তথা দেশের তাবড় শিল্পপতিরা। বিশিষ্ট অতিথিদের দেখা গেল ঠোঙা থেকে হাতের মুঠোয় মুড়ি ঢেলে মুখে পুড়তে। সকলেই বললেন, একেবারে অন্যরকম অভিজ্ঞতা। বাংলা যে বরাবর অনন্য, ফের তার প্রমাণ মিলল।

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করলেন বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণের। আগে যেটি মিলন মেলা ছিল, সেটিকেই নতুনভাবে আধুনিকতার মোড়কে গড়ে তুলেছে রাজ্য। প্রদর্শনী হিসেবে অন্যতম দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে চলেছে এই জায়গা। একসঙ্গে তিন লক্ষ লোকের জমায়েত সম্ভব বাইপাসের ধারে এই প্রাঙ্গণে। একসঙ্গে ৭০০-র উপরে স্টল বসতে পারে এখানে। এমনকী ছোট বিমানের প্রদর্শনীও করা যাবে। কনফারেন্স রুম, অডিটোরিয়াম, ফুড কোর্ট সহ একাধিক ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। সৌন্দর্যায়নের দিক থেকেও অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এই প্রাঙ্গণ। রয়েছে দু’টি সুবিশাল হল ঘর। কয়েক হাজারের মানুষের বসার জায়গা রয়েছে সেখানে। এদিন সেখানেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। স্বনামধন্য শিল্পপতি, নামী সংস্থার কর্ণধাররা হাজির ছিলেন সেখানে। চা-কফির আয়োজন করা হয়েছিল অতিথিদের জন্য। সেখানেই নজর কাড়ল ঝালমুড়ি। দেখা গেল, অতিথিরা ঝালমু঩ড়ি পরিবেশনকারীকে ডেকে নিলেন টেবিলের সামনে। অধিকাংশ আমন্ত্রিতই ঠোঙা ভর্তি ঝালমুড়ি নিয়ে বসলেন। যাবতীয় ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য সরকারই। অতিথিরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় নতুন কিছু সৃষ্টি করেন। অতিথিদের বিশেষভাবে সম্মানিত করেন তিনি। অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাতে বাংলার জুড়ি মেলা ভার।এই মুহূর্তে

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Biswa Bangla Mela Prangan, #Mamata Banerjee, #jhalmuri

আরো দেখুন