টানা ৬টি ম্যাচে হার মুম্বাইয়ের, আইপিএলে ১৮ রানে হারাল লখনৌ
আইপিএলে লজ্জার নজির গড়ল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথম দল হিসাবে এই মরসুমের প্রথম ছয় ম্যাচে হারলেন রোহিত শর্মারা। এ বার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধেও হারতে হল পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নদের। লোকেশ রাহুলের দুরন্ত শতরান ও তার পরে লখনউয়ের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৮ রানে ম্যাচ হেরে লিগ তালিকার এক দম শেষে মুম্বই।
ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে দুপুরের ম্যাচেও প্রথমে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বইয়ের অধিনায়ক রোহিত। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। ভাল শুরু করেন লখনউয়ের দুই ওপেনার রাহুল ও কুইন্টন ডিকক। বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল রাহুলকে। জসপ্রীত বুমরা, জয়দেব উনাদকাটরা বেশি রান না দিলেও মুম্বইয়ের দুই বিদেশি টাইমাল মিলস ও ফ্যাবিয়েন অ্যালেনের বিরুদ্ধে বড় শট খেলেন রাহুল। গায়ের জোরে না খেলে বুদ্ধি করে ফিল্ডিংয়ের ফাঁক ধরে বড় শট খেলছিলেন তিনি। তার ফলে দ্রুত রান উঠছিল।
এ বারের আইপিএলে এর আগে অর্ধশতরান করার পরে উইকেট দিয়ে এসেছেন রাহুল। তবে এই ম্যাচে তেমন কিছু হয়নি। শতরানের লক্ষ্য নিয়েই যেন নেমেছিলেন লখনউয়ের অধিনায়ক। সেটাই হল। ম্যাচের ১৯তম ওভারে মিলসকে চার মেরে মাত্র ৫৬ বলে শতরান করেন তিনি। মারেন ৯টি চার ও ৫টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ১০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। রাহুল ছাড়া বাকিদের মধ্যে কুইন্টন ডিকক ২৪ ও মনীশ পাণ্ডে ৩৮ রান করেন। তবে শেষ দিকে রান কিছুটা কম হওয়ায় ১৯৯ রানে শেষ হয় লখনউয়ের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রোহিতের উইকেট হারায় মুম্বই। তাঁকে আউট করেন আবেশ খান। ঈশান কিশনের সঙ্গে জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। বেশ কয়েকটি বড় শট খেলেন ব্রেভিস। মাত্র ১৩ বলে ৩১ রান করে আবেশের বলেই আউট হন তিনি। সূর্যকূমার যাদব, তিলক বর্মা চেষ্টা করলেও তাতে কাজ হয়নি। শেষ দিকে বেশ কয়েকটি বড় শট খেলেন কাইরন পোলার্ড ও উনাদকাট। তাতে মুম্বই সমর্থকদের মনে আশার সঞ্চার হলেও শেষ পর্যন্ত ১৮ রানে হেরেই বাড়ি ফিরতে হয় তাঁদের।