আসানসোলের মত জেতা আসনে হার কেন? অমিতাভ চক্রবর্তীকে জরুরী তলব শাহের
দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে (WB By-Elections) বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য। বালিগঞ্জ তো বটেই, বিজেপির (BJP) দখলে থাকা আসানসোল লোকসভা আসনটিও ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে অগ্নিমিত্রা পলকে হারিয়ে জিতেছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। প্রথমবার গেরুয়া শিবিরের হাতছাড়া হল রাজ্যের শিল্পাঞ্চল। শনিবার উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই আসানসোলের হার মাথাব্যথা বাড়িয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের। জেতা আসন কীভাবে হাতছাড়া হল, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। তবে পরাজয় নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ অমিত শাহ (Amit Shah), জেপি নাড্ডা। সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। দিল্লিতে (Delhi) ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে।
উপনির্বাচনে গো-হারা হারের পর বিজেপিতে মুষল পর্ব শুরু হয়েছিল শনিবারই। হারের জন্য ‘অপরিণত’ নেতৃত্বকে দায়ী করে তোপ দেগেছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। রবিবার রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি ‘বিরক্ত’ হয়ে বিজেপি রাজ্য কমিটি থেকে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। মুর্শিদাবাদের তিন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও নদিয়ার মোট ১০ বিজেপি নেতা পদত্যাগ করেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন তিনজন সাধারণ সম্পাদকও। মূলত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীদের দিকেই আঙুল উঠেছে হারের জন্য।
সূত্রের খবর, বিজেপির অন্দরে আলোচনা চলছে, বালিগঞ্জ ছিল খরচের খাতায় কিন্তু আসানসোল হাতছাড়া হল কেন? এ নিয়ে ক্ষুব্ধ শাহ-নাড্ডা। বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে দিল্লি। এছাড়া রবিবার অমিতাভ চক্রবর্তীকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বুধবার সম্ভবত নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন তাঁরা। এই হারের পর মে মাসে ক্ষুব্ধ অমিত শাহ কি আসবেন বঙ্গ সফরে? তা নিয়ে সন্দিহান বিজেপি।
উপনির্বাচনে হারের পর থেকে লাগাতার দলের অন্দরে সমালোচনার মুখে পড়ে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলত্যাগীদের নিয়ে প্রশ্নের মুখে তাঁর জবাব, ”বিজেপির দুঃসময়ে প্রকৃত কর্মীরা দলের সঙ্গেই আছেন। যাঁরা সুসময়ে এসেছিলেন, তাঁরা এখন সুযোগ বুঝে অন্য দলে চলে যেতে চাইছেন।”